পানির নিচে ইফতার আয়োজন
খোদার দুনিয়ায় পুরোটাই আপনার জন্য ইবাদতের স্থান বা প্রার্থনার জায়গা। যেখানে আপনি আল্লাহর দোয়া বিধানগুলো তার কন্ডিশন মোতাবেক পালন করতে পারেন। ইসলাম যেমন মসজিদে নামাজ কে পড়ার জন্য বলে তেমনিভাবে পবিত্র স্থানগুলিকেও সে ব্যপারে অনুমতি দেয়। সেটা জলপথ স্থলপথ, আকাশপথে যেকোনো জায়গায় আপনি পড়তে পারেন। তেমনি ভাবে ইসলামের অন্যান্য সুন্দর্যমন্ডিত নান্দনিক দিকগুলোকেউ আপনি যে কোনভাবে তার বিধান অনুযায়ী পালন করতে পারবেন। ইসলামের সৌন্দর্যে দুবাই মানুষের আনন্দে আর একটু বাড়তি মাত্রা দেওয়ার জন্য দুবাই ব্যতিক্রম ইফতার ও সেহরীর ব্যবস্থা করে থাকে যা ইসলামের সৌন্দর্য বহিঃপ্রকাশই বটে ।
রমজানে মুসলমানরা পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুবর্ণ সুযোগ পায়। সেহরি বা ইফতারকে কেন্দ্র করে রয়েছে নানা আয়োজন। প্রতি বছর, দুবাই এই মুহূর্তটিকে স্মরণ করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এবারও করলেন ভিন্ন আয়োজন। দেশের মানুষ পানির নিচে, সিংহ-প্রজাপতির সঙ্গে, গাছের নিচে কিংবা নক্ষত্রের সঙ্গে ইফতারের আনন্দময় মুহূর্ত কাটায়ে গড়েছে কত রেকর্ড।
দুবাইয়ের ন্যাশনাল অ্যাকোয়ারিয়াম ও শাংরি লা ক্বারিয়াত আল বেরি যৌথভাবে পানির নিচে ইফতারের অভিনব আয়োজন করেছে। এতে ৩০ থেকে ৫০ জন পানির নিচে বসে ইফতার করতে পারবেন।
তবে এর জন্য গুনতে হবে ৬০০ দিরহাম। প্রজাপতি সাথে ইফতার খেতে চাইলে দুবাইয়ের শারজাহ শহরের আল নূর দ্বীপে যেতে পারেন। প্রাকৃতিক পরিবেশে ইফতারের পাশাপাশি দেখা মিলবে রঙিন প্রজাপতির। এখানে যেতে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৮০ দিরহাম লাগবে। এবং শিশুদের ৯৫দিরহাম। পশুপাখির সঙ্গেও সময় কাটানো যায়। তবে তার জন্য তাকে যেতে হবে ‘আল-আইন চিড়িয়াখানায়’। যেখানে রয়েছে সিংহ ও জিরাফসহ নানা ধরনের পশু-পাখি।
ম্লেহাজ রমজান স্টার লাউঞ্জে খোলা আকাশের নিচে বসে পরিবারের সাথে ইফতার করা সম্ভব। যার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ২৫০ দিরহাম এবং শিশুদের জন্য মাত্র ১৫০ দিরহাম। জলপাই গাছের নিচে বসে যে কেউ ইফতার করতে পারেন। তার জন্য তাকে যেতে হবে বুলগারি ইয়ট ক্লাবে। দেশটির মহাকাশ গ্রুপ আল-কুদরা মরুভূমিতে ইফতারের আয়োজ