November 24, 2024
কখন এবং কিভাবে রোযার নিয়ত করতে হবে

কখন এবং কিভাবে রোযার নিয়ত করতে হবে

কখন এবং কিভাবে রোযার নিয়ত করতে হবে

কখন এবং কিভাবে রোযার নিয়ত করতে হবে

রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত আবশ্যক। নিয়ত ছাড়া রোজাসহ কোন কাজই গ্রহণযোগ্য নয়। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “নিশ্চয়ই সকল কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করে তাই পায়।” (বুখারি)। নিয়ত ছাড়া সারাদিন না খেয়ে থাকলেও রোজা পূর্ণ হবে না। অবশ্য মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা জরুরী নয়। বরং অন্তরে রোজা রাখার সংকল্প করাই যথেষ্ট। এমনকি সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত হয়ে যায়।

রহমত, মাগফেরাত ও মুক্তির বার্তা নিয়ে মুমিনের দ্বারে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনদের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।

দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখলে একজন মুমিন তাকওয়া লাভ করতে পারে। হতে পারে রাসুল (সাঃ) এর শ্রেষ্ঠ উম্মত। সে পেতে পারে ইহকাল ও পরকালে অনেক উপকার । আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পথ এবং সাহাবায়ে কেরামের দৃষ্টান্ত অনুযায়ী রমজান পালন করা সম্ভব।

রমজানের সকল শর্ত, আদব ও মুস্তাহাব সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। একজন মুমিন যাতে সঠিকভাবে রোজা রাখতে পারে। মহান রব যেন প্রত্যেক মুমিন নর-নারীকে পবিত্র রমজানের রহমত, বরকত ও ক্ষমা দান করেন।

রোজা কি?

সুবে সাদিকের (পূর্ব আকাশে সাদা আলোর আবির্ভাব) থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার খাদ্য ও পানীয় এবং স্ত্রী সহবাস করা থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলা হয়।

রোজা যাদের উপর ফরজঃ
  • প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক
  • বিবেকবান মুসলিম নর-নারী
  • সুস্থ মুসলিম নর-নারী
  • মুকিম মুসলিম ( মুসাফির/ ভ্রমণ অবস্থায় রো জা ফরজ নয় )
  • নাবালক, পাগল ও কাফেরদের উপর রোজা ফরজ নয়।
রোজা রাখার শর্তঃ

রোজা সহীহ হওয়ার জন্য দুটি শর্ত রয়েছে।

১.  রোজার রাখার নিয়ত করাঃ- কাজেই যদি কেউ ইচ্ছা না করে ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকে, তবুও তা শরীয়তের দৃষ্টিতে রোজা বলে গণ্য হবে না।

১.  ঋতুস্রাব ও নেফাস থেকে মহিলাদের পবিত্রতাঃ- অতএব, যদি কোন মহিলা তার মাসিক বা নাফাস অবস্থায় রোজা রাখে তবে তার রোজা শুদ্ধ হবে না।

যেভাবে রোযার নিয়ত করতে হবেঃ

নিয়ত এটি আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ হলো মনে মনে ইচ্ছা করা। যেকোনো ভাষায় রোজার নিয়ত করা যায়। তবে আরবি ভাষায় করতে পারলে ভালো। আরবিতে রমজানের রোজার নিয়ত হলো

নাওয়াইতু আন আছুম্মা গদাম মিন শাহরি রমাদনাল মুবারকি ফারদল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্কব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম।“

(হে আল্লাহ!) আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকাল রমজানের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।

কখন রোজা রাখার নিয়ত করতে হবে?

রমজানের রোজার নিয়ত রোজার আগের  রাতেই করে নেওয়া উত্তম। তবে ভুলে গেলে রোজার দিন সূর্য পশ্চিমকাশে হেলে যাওয়ার (দুপুরের) এক-দেড় ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় তা করে নিতে পারবেন। তবে শর্ত হলো, এ সময়ের মধ্যে কিছু না খেয়ে থাকতে হবে এবং রোজা ভাঙার অন্যান্য কোনো কারণও না থাকতে হবে। তবে হ্যাঁ, রোযার জন্য সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত হয়ে যায়।

লেখক/ আহমাদুল্লাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X