পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার ফলশ্রুতিতেঃ আইসিসির বিরুদ্ধে রাশিয়ার পাল্টা মামলা
রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমের মিত্ররা। বিশেষ করে ন্যাটো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকার মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠিনভাবে সোচ্চার হয়েছে। জার্মানি , অ্যামেরিকা বারবার অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সহযোগিতা করেছে ইউক্রেনকে। যার কারণে যুদ্ধে ইউক্রেনের মত দেশ রাশিয়ার সাথে এক বছরের উপরে টিকে আছে। তবে রাশিয়ার ইতিহাস হল তারা যুদ্ধ করতে গিয়ে তাদের বিশাল আকৃতির দেশটিকে ইতিপূর্বেও বারবার খন্ড-বিখন্ড করেছে । এখনো তাই হলফ করে বলা যায় না যে, রাশিয়া যুদ্ধে বিজয়ী হবে। আর এদিকে পশ্চিমারা সকলে মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করেছে। ইতোমধ্যে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে এই ব্যবস্থ।
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করার অভিযোগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এবার পাল্টা মামলা করা হল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারক ও প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে। ২০ মার্চ, মস্কোর তদন্ত কমিটি একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।
ক্রেমলিন আইসিসির বিরুদ্ধে মামলায়; বিচারক তোমোকো আকানে, রোজারিও সালভাতোরে আইতালা, সার্জিও জেরার্ডো উগালদে গোদিনেজ এবং প্রসিকিউটর করিম খানকে অভিযুক্ত করেছে। তদন্ত কমিটি উল্লেখ করেছে যে আইসিসি প্রসিকিউটরদের কর্মকাণ্ডে রাশিয়ান আইনের অধীনে কোন অপরাধ গঠনের তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত রয়েছে। তদন্ত কমিটি এই যুক্তিও দিয়েছে যে, আইসিসি জেনেশুনে একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত করেছে।
রাশিয়ান তদন্ত কমিটি বলেছে, পুতিনের পক্ষ থেকে অপরাধমূলক দায়ভারের কোনো ভিত্তি নেই। কারণ রাষ্ট্রপ্রধানরা ১৯৭২ সালের জাতিসংঘ কনভেনশনের অধীনে সম্পূর্ণরূপে দায়মুক্তি পেয়ে থাকেন।
আইসিসির সভাপতি পিওর হফম্যানস্কি বলেছেন যে এটি “সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক” যে রাশিয়া এই পরোয়ানা জারি করার জন্য আইসিসির দায়মুক্তি পাবেন।
সম্প্রতি আইসিসি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন থেকে শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একই সময়ে, আইসিসি একই অভিযোগে রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেকসিভনা লোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
উল্লেখ্য যে রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ -এ ইউক্রেন আক্রমণ করেছিল। এই আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রাসন হিসাবেই বিবেচিত এই আক্রমণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সূত্রপাত করেছে, প্রায় ১ কোটিরও বেশি ইউক্রেনীয়রা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং আরও কয়েক মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবেও বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেনে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমে মিত্ররা। বিশেষ করে ন্যাটো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকার মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠিনভাবে সোচ্চার হয়েছে। জার্মানি , অ্যামেরিকা বারবার অস্ত্র সরবরাহ এবং আর্থিক সহযোগিতা করেছে ইউক্রেনকে। যার কারণে যুদ্ধ ইউক্রেনের মত দেশ রাশিয়ার সাথে এক বছরের উপরে টিকে আছে। তবে রাশিয়ার ইতিহাস হল তারা যুদ্ধ করতে গিয়ে তাদের বিশাল আকৃতির দেশটিকে ইতিপূর্বেও বারবার খন্ড-বিখন্ড করেছে । এখনো তাই হলফ করে বলা যায় না যে, রাশিয়া যুদ্ধে বিজয়ী হবে কিনা। আর এদিকে পশ্চিমারা সকলে মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা করেছে। ইতোমধ্যে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে এই ব্যবস্থ।