জাপানে জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুহার দ্বিগুণ, জাপানের অস্তিত্ব মুছে যাওয়ার শঙ্কা
জাপানের সরকারি পরিসংখ্যান মতে, ২০২২ সালে জাপানে ৮ লাখেরও কম শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ১২ হাজার। ২০২০ সালে ৭ লাখ ৪০ হাজার। অন্য দিকে, ২০২২ সালে জাপানে মৃত্যু হয়েছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। অর্থাৎ, জন্মহারের তুলনায় মৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ!
জাপানে দ্রুতহারে জন্মহার কমতে থাকায় চিন্তায় ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সোমবার জাপানের প্রধানমন্ত্রীর এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি জন্মহার হ্রাসের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে একদিন জাপানের অস্তিত্বই মুছে যাবে।’
জাপানে বর্তমানে অর্থনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে। বেড়েছে পরিবার ছোট রাখার প্রবণতা। এমনকি, জাপানের তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এখন বিয়ে করতেই রাজি নয়। এরই জের ধরে দ্রুতহারে কমছে জন্মহার। ২০২২ সালে সবচেয়ে কম শিশু জন্মানোর সর্বকালীন রেকর্ড হয়েছে জাপানে। এই পরিস্থিতি দেখে চিন্তা বেড়েছে ওই দেশের সরকারের। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এমন চলতে থাকলে দেশে সামাজিক কাঠামোই নষ্ট হয়ে যাবে। ভেঙে পড়বে অর্থনীতি।’
জন্মহার কমার নেপথ্যে টোকিওর কড়া অভিবাসননীতিও অন্যতম কারণ বলে মনে করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি নামক একটি সরকারি সংস্থার ২০২১ সালের সমীক্ষার ফলাফল জন্মহারের অনুপাত সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ১৭.৩ শতাংশ পুরুষ এবং ১৪.৬ শতাংশ মহিলা বলছেন যে তাদের বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নেই। ১৯৮২ সাল থেকে প্রতি বছরই এই সমীক্ষা করা হয়।