November 24, 2024
তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহ কেটে গেছে। তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজারে।

দিন যাচ্ছে আর  ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও জীবিত ব্যক্তি খুঁজে পাওয়ার আশা হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের কংক্রিট সরালেই মিলছে লাশ।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে চূড়ান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। সংস্থাটি বলেছে যে, ভূমিকম্পের পরে সিরিয়ায় ৫৩ লাখ মানুষ গৃহহীন হতে পারে। এখন তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রায় ৯ লাখ লোকের জরুরি খাদ্যের (গরম খাবারের) প্রয়োজন রয়েছে।

সিরিয়ার সরকার তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছিলেন যে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেশটির বিধ্বংসী ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পকে ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তাদের ধারণা, নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ এএফইডি জানিয়েছে, ছয় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজিয়ানতেপ শহর। ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এই ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। বেশিরভাগ মানুষ তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। বহুতল ভবন ধসে পড়ে ঘুমন্ত মানুষের ওপর। মোমের মতো ধসে পড়ে একাধিক ভবন। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিস্তৃত এলাকা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মিসর, লেবানন ও সাইপ্রাস থেকেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

ডব্লিউএইচওর শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাডেলহেইড মারশাং বলেছেন, যেসব এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে তার মানচিত্র অনুযায়ী বলা যায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের মধ্যে ৫০ লাখ মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ। তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ভূমিকম্প-আক্রান্ত এলাকায় বেসামরিক অবকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কিত অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ডব্লিউএইচও বিশ্বাস করে যে সিরিয়া বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের তাৎক্ষণিক ঘাটতির মুখোমুখি হবে। এমনকি দেশটি মধ্য মেয়াদে এ ধরনের আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X