November 22, 2024
৮৪ বছর পর তুরস্ক-সিরিয়ায় এত ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্পঃ বেড়েই চলছে মৃত্যু

৮৪ বছর পর তুরস্ক-সিরিয়ায় এত ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্পঃ বেড়েই চলছে মৃত্যু

৮৪ বছর পর তুরস্ক-সিরিয়ায় এত ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্পঃ বেড়েই চলছে মৃত্যু

৮৪ বছর পর তুরস্ক-সিরিয়ায় এত ভয়াবহ শক্তিশালী ভূমিকম্পঃ বেড়েই চলছে মৃত্যু

ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূকম্পনবিদ স্টিফেন হিকস বলেন, ৮৪ বছর আগে ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দশমিক মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। ওই সময় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহাণি ঘটে।“

তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৪৫০ ছাড়িয়েছে।  এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে ১৭১৮ ভবন

ভূমিকম্পে উভয় দেশে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এতে অনেকেই আটকা  পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা দ্রুত বেড়েই চলছে ।গতির সাথে চলছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ।

জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ৪টা ১৭মিনিটে তুরস্কের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা ও তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭  দশমিক ৯ কিলোমিটার।

প্রথম ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকবার শক্তিশালী কম্পন (আফটার শক) অনুভূত হয়। সবশেষ কম্পনটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭ মাত্রার।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠবো। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। অনেক ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছেন।

ভূমিকম্প কবলিত তুরস্কের গাজিয়ানতেপের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশের কিলিসের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি। ওসমানিয়ার তাপমাত্রা মাইনাস ২ ডিগ্রি। সিরিয়ার তাপমাত্রাও এর কাছাকাছি। সঙ্গে আছে তুষারপাত, বৃষ্টি। ফলে সোমবার ভূমিকম্পের পর যারা বেঁচে আছেন, তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হিমশীতল পরিবেশে উদ্ধার তৎপরতাও  বিঘ্নিত হচ্ছিল।

ভূমিকম্পের পর শক্তিশালী দেশের নেতৃবৃন্দ ভূমিকম্প পরবর্তী সাহায্য করার কথা জানিয়ে তুরস্ককে  আশ্বাস  দিয়েছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X