November 25, 2024
এক কেজি চা পাতার দাম ২ লাখ টাকা (গোল্ডেন পার্ল চা)

এক কেজি চা পাতার দাম ২ লাখ টাকা (গোল্ডেন পার্ল চা)

এক কেজি চা পাতার দাম ২ লাখ টাকা (গোল্ডেন পার্ল চা)

এক কেজি চা পাতার দাম ২ লাখ টাকা (গোল্ডেন পার্ল চা)

আসামের ডিব্রুগড়ে উৎপাদিত এক কেজি সোনালি মুক্তা চা পাতা একটি নিলামে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি টাকায় (এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা) বিক্রি হয়েছে।

শুক্রবার ডিব্রুগড়ের নাহারচুকা বাড়িতে এএফটি টেকনো ট্রেড কোম্পানির কারখানায় উৎপাদিত এই বিশেষ চা কিনেছেন হিন্দুস্তান চা রপ্তানিকারকরা। তারা রাশিয়ার মেসার্স মিখাইল টি কোম্পানি থেকে এই চা কিনেছে। তারা এই চা কিনেছে।

এরআগে, চলতি বছরে সরকারি নিলামে গোল্ডেন পার্ল চায়ের দাম উঠেছিল প্রায় এ লাখ ৩০ হাজার টাকা (৯৯ হাজার ৯৯৯ রুপি)।

এছাড়া আসামের মনিহারি গোল্ডেন টির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল প্রায় দেড় লাখ টাকা (এক লাখ ১৫ হাজার রুপি)।

নাহারচুকা বাড়ি চা কারখানার প্রতিনিধি আসলাম খান বলেন, ভালো দাম বৃদ্ধির জন্য আমি কারখানার সকল শ্রমিক, ছোট বাগান ও উৎপাদকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাদের উপর আস্থা রেখে সেরা চা কুঁড়ি উপহার দিয়েছেন।

শরৎকালে যখন চায়ের কুঁড়ি আসে তখন সংগ্রহ করা কুঁড়ি থেকে বিশেষ এ চা পাতা তৈরি করা হয়। এই চা পাতার ওপর একটা সোনালি আস্তর থাকে। সঙ্গে ফুলের সুবাস যুক্ত স্বাদ। অ্যান্টিএজিং এবং স্বাস্থ্যকর এই চায়ের উজ্জ্বল লিকার হয়। চায়ে চুমুক দিলেন একটা প্রশান্তি ভাব চলে আসে।’

এই চা আসামের অন্যতম প্রিমিয়াম চা হিসেবে গত কয়েক বছর থেকে পরিচিতি লাভ করেছে বলে জানান আসলাম খান।

চা বাগান সংশ্লিষ্ট রঞ্জন লোহিয়া বলেন, ‘ব্যক্তিগত চা নিলামের দাম বেঁধে দিয়েছে টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। আমরা যদি গোয়াহাটি টি অকশন সেন্টারে অংশ নিতাম, তাহলে এই চায়ের দাম এক লাখের বেশি হতো না। কারণ এটাই সর্বোচ্চ দাম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে । কিন্তু একই পদ্ধতি মেনে ওয়েবসাইটে চায়ের নিলাম ডাকা হয়। কিন্তু সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়া হয় না। তাতেই আমরা ভালো দাম পেয়েছি।

২০১৮ সালে ডিব্রুগড় বিমানবন্দরের কাছে চায়ের কারখানাটি তৈরি করেন ইমরান খান, নুর আলম এবং আসলাম খান । ২০১৮ সালে এক কেজি গোল্ডেন পার্ল চায়ের দাম উঠেছিল ৩৯ হাজার ১০০রুপি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ হাজার এবং ২০২১ এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই চায়ের দাম ওঠে ৯৯ হাজার ৯৯৯ রুপি

এই চা বিশ্বে একটি বিশেষ পানীয় হিসেবে চিহ্নিত।

গোল্ডেন পার্ল চা কিছু নিয়ম মেনে তৈরি করতে হয়। সূর্য ওঠার আগে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে চায়ের কুঁড়ি বাছাই করা হয়। গোল্ডেন পার্ল চা বিশেষ পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত কর্মীদের দ্বারা তৈরি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X