খরার মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব
বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষ প্রবল গরম ও খরার মুখোমুখি হতে চলেছে । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব জিওগ্রাফির একটি গবেষণাপত্রে রবিবার এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি নেচার সাসটেনেবিলিটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রবল উষ্ণায়ন ও স্থলভাগে পানির সংকট- এ দুই কারণে পৃথিবীজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দশগুণ বাড়বে। কার্বন নিঃসরণও সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে।
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জিয়াবো ইন ও অক্সফোর্ডের গবেষক লুইস স্লেটার জানিয়েছেন, কার্বন নিঃসরণ সবচেয়ে কম রাখা হলেও বিশ্বের জনসংখ্যা ও জিডিপির ৯০ শতাংশ বিপদের সম্মুখীন হবে। এভাবে চললে সমাজের জন্য তা বিপজ্জনক হবে। বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব পড়বে। অর্থনীতি ধাক্কা খাবে।
তারা আরও বলেন যে,শেষমেশ একটা সামাজিক অসাম্য তৈরি হবে। গরিবরা আরও গরিব হবেন। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে বেশি ক্ষতি হবে। গবেষক জিয়াবো ইন বলেন, প্রকৃতি যখনই বিপদে পড়বে, তার প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতে। পানি সংকট কার্বন সিঙ্ক-এর ক্ষমতা কমাবে। কার্বন সিঙ্ক হলো অরণ্য, সমুদ্র বা অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশ যা বায়ুম-ল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নিতে পারে। লুইস স্লেটার জানিয়েছেন, অবিলম্বে পৃথিবীর উষ্ণায়নের জেরে কী কী পারিপার্শ্বিক প্রভাব পড়তে পারে, তা জানা জরুরি।
অক্সফোর্ড ইকোনমিক্সের গ্লোবাল ম্যাক্রো রিসার্চের পরিচালক বেন মে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই খরার প্রভাবে দীর্ঘমেয়াদি সংকটে পড়বে বিশ্ব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। বহু দেশেই বেড়ে গেছে খাবারের দাম। তবে এসব দেশে সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটলেও হর্ন অব আফ্রিকার জন্য এটি কয়েক দশক থেকেই চলে আসছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা। তাদের জন্য বেঁচে থাকাটাই যেন একটি অভিশাপে পরিণত হয়েছে।