November 21, 2024
২০২৩ এ মন্দার কবলে পড়বে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশঃ আইএমএফ

২০২৩ এ মন্দার কবলে পড়বে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশঃ আইএমএফ

২০২৩ এ মন্দার কবলে পড়বে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশঃ আইএমএফ

২০২৩ এ মন্দার কবলে পড়বে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশঃ আইএমএফ

নতুন বছরে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অশনি এক বার্তা দিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, নতুন বছরেই মন্দার কবলে পড়বে বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ দেশ। যার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা মন্দার এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

নতুন বছরের শুরুতেই বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, যা উদ্বেগ ছড়াচ্ছে বিশ্বের দেশে দেশে। ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, নতুন বছর তথা ২০২৩ সালের বিশ্ব অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় কঠিন সময় পার করবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থনীতির গতি এরই মধ্যে মন্থর হয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুদ হার বেড়ে যাওয়া ও চীনে নতুন করে করোনা ভাইরাসের বিস্তার বিশ্ব অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এতে বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ দেশের অর্থনীতি চলতি বছর মন্দার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।

সম্প্রতি সিবিএস নিউজের এক অনুষ্ঠানে আইএমএফের প্রধান এ আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন। এর আগে গত অক্টোবরে প্রকাশিত আইএমএফের অথনৈতিক আউটলুকে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমানো হয়েছে। আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, চলতি বছর যেসব দেশ মন্দার কবলে পড়বে না, সেসব দেশের মানুষও মন্দার ধাক্কা অনুভব করবে। ইউরোপ কোনোভাবেই মন্দা এড়াতে পারবে না। আর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

আইএমএফ বলছে, করোনাভাইরাস নতুন করে বিস্তার শুরু করলেও চীন সম্প্রতি তাদের ‘শূন্য কোভিড’ নীতি থেকে সরে এসেছে। তারা অর্থনীতিতে আবারও গতি সঞ্চার করতে চায়। ফলে চলতি বছর বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চীন এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে। ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, আগামী কয়েক মাস চীনের জন্য কঠিন সময়। ফলে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। চীনের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে তাতে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আইএমএফ বলছে, বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির গতি মন্থর গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়া মানে চীন, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তার প্রভাব পড়বে। কারণ, এসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানির চাহিদা কমে যাবে। এ ছাড়া উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসায়ীদের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা কমে যাবে। এর ফলে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X