ইউক্রেন; রাশিয়ার দাবি মেনে নিতেই হবে, অন্যথা করলে রুশ সেনারাই সব নির্ধারণ করবে
ইউক্রেনকে আল্টিমেটাম দিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই মস্কোর দাবিগুলো মেনে নিতে হবে। আর যদি তারা ভালভাবে এসব দাবি না মেনে নেয়, তাহলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করেছে রাশিয়া। তবে এরমধ্যে তিনটি অঞ্চলেরই বড় একটি অংশ ইউক্রেনের দখলে রয়ে গেছে। রাশিয়া এসব এলাকা থেকে ইউক্রেনের সেনাদের সরে যাওয়ার দাবি তুলেছে। ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনের নিজের ভালোর জন্যেই রাশিয়ার এই দাবি মেনে নেয়া উচিৎ তাদের। এমন কড়া ভাষায় ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দেয়ার একদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ল্যাভরভ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ভালো করেই রাশিয়ার প্রস্তাবগুলো জানে। আমরা কিয়েভের শাসকদের অধীনে থাকা অঞ্চলগুলোতে নিরস্ত্রীকরণ দেখতে চাই এবং ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে চাই। রাশিয়া ও তার নতুন ভূখণ্ড (ডনবাস) যাতে নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করতে চাই।
এখন ইউক্রেনের সামনে দুটি রাস্তা খোলা আছে। নিজের ভালোর জন্য তারা এসব প্রস্তাব মেনে নেবে। নইলে রাশিয়ার সেনাবাহিনীই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বার্তা সংস্থা তাস তাকে প্রশ্ন করে, আর কতদিন এই যুদ্ধ চলবে? উত্তরে ল্যাভরভ বলেন, এটি নির্ধারণ করতে হবে কিয়েভ ও ওয়াশিংটনকেই।
এর আগে রোববার প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও একবার জানান, মস্কো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররাই সমঝোতার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এরইমধ্যে যুদ্ধ ১১তম মাসে গড়িয়েছে। মস্কো যুদ্ধের প্রথমে যেসব অঞ্চল দখলে নিয়েছিল তার বড় একটি অংশ ইউক্রেন ফিরিয়ে এনেছে। তবে ডনবাসে রাশিয়া এখনও অগ্রসর হচ্ছে। বাখমুত, আভদিভকা, মারিংকা এবং সোলেদর শহরে তীব্র যুদ্ধ চলছে। ফ্রন্টলাইনের পাশাপাশি ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ অবকাঠামো টার্গেট করে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এতে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ ও পানিহীন জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, ডনবাস অঞ্চলে পরিস্থিতি ‘কঠিন এবং বেদনাদায়ক’। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুর ফলস্বরূপ প্রায় ৯০ লাখ মানুষ এখন বিদ্যুৎবিহীন। এই সংখ্যা ইউক্রেনের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
। আর যদি তারা ভালভাবে এসব দাবি না মেনে নেয়, তাহলে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করেছে রাশিয়া। তবে এরমধ্যে তিনটি অঞ্চলেরই বড় একটি অংশ ইউক্রেনের দখলে রয়ে গেছে। রাশিয়া এসব এলাকা থেকে ইউক্রেনের সেনাদের সরে যাওয়ার দাবি তুলেছে। ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনের নিজের ভালোর জন্যেই রাশিয়ার এই দাবি মেনে নেয়া উচিৎ তাদের। এমন কড়া ভাষায় ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দেয়ার একদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ল্যাভরভ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ভালো করেই রাশিয়ার প্রস্তাবগুলো জানে। আমরা কিয়েভের শাসকদের অধীনে থাকা অঞ্চলগুলোতে নিরস্ত্রীকরণ দেখতে চাই এবং ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে চাই। রাশিয়া ও তার নতুন ভূখণ্ড (ডনবাস) যাতে নিরাপদ থাকে তা নিশ্চিত করতে চাই।
এখন ইউক্রেনের সামনে দুটি রাস্তা খোলা আছে। নিজের ভালোর জন্য তারা এসব প্রস্তাব মেনে নেবে। নইলে রাশিয়ার সেনাবাহিনীই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বার্তা সংস্থা তাস তাকে প্রশ্ন করে, আর কতদিন এই যুদ্ধ চলবে? উত্তরে ল্যাভরভ বলেন, এটি নির্ধারণ করতে হবে কিয়েভ ও ওয়াশিংটনকেই।
এর আগে রোববার প্রেসিডেন্ট পুতিন আরও একবার জানান, মস্কো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররাই সমঝোতার রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এরইমধ্যে যুদ্ধ ১১তম মাসে গড়িয়েছে। মস্কো যুদ্ধের প্রথমে যেসব অঞ্চল দখলে নিয়েছিল তার বড় একটি অংশ ইউক্রেন ফিরিয়ে এনেছে। তবে ডনবাসে রাশিয়া এখনও অগ্রসর হচ্ছে। বাখমুত, আভদিভকা, মারিংকা এবং সোলেদর শহরে তীব্র যুদ্ধ চলছে। ফ্রন্টলাইনের পাশাপাশি ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ অবকাঠামো টার্গেট করে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এতে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎ ও পানিহীন জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, ডনবাস অঞ্চলে পরিস্থিতি ‘কঠিন এবং বেদনাদায়ক’। ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুর ফলস্বরূপ প্রায় ৯০ লাখ মানুষ এখন বিদ্যুৎবিহীন। এই সংখ্যা ইউক্রেনের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ।