সৌদিতে নেতাদের সঙ্গে শি জিনপিং’র বৈঠক
জিসিসি-বা গালফ কো অপারেশন কাউন্সিলের বৈঠকেও অংশ নেবেন শি। জিসিসি তে আছে সৌদি আরব, বাহরিন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও আমিরাত। করোনার পর এই প্রথমবার সৌদি আরবে গেলেন শি জিনপিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিম জানান, এই সফর হলো, চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক প্রয়াস। দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসে যা খুবই বড় বিষয় বলে চিহ্নিত হবে।
সৌদির এনার্জি মন্ত্রী যুবরাজ আব্দুল আজিজ বিন সালমান জানান, সৌদি আরব চীনের বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু দেশ হয়ে থাকবে। দুই দেশের সম্পর্ক দ্রুত এগিয়ে যাবে।
চীন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অশোধিত তেল আমদানিকারী দেশ। তারা এই তেলের জন্য অনেকটাই সৌদির উপর নির্ভরশীল থাকে। প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি ডলারের তেল তারা সৌদি থেকে কেনে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, ২০০৫ থেকে ২০২০ এর মধ্যে আরব দুনিয়ায় চীন যে বিনিয়োগ করেছে, তার ২০ শতাংশ হয়েছে সৌদিতে। সৌদির মিডিয়া রিপোর্ট জানিয়েছে, শি জিন পিংয়ের সফরের সময় রিয়াধে তিন হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করবে চীন।
হোয়াইট হাউসের সুরক্ষা সংক্রান্ত মুখপাত্র জন কিরবি জানান, আমেরিকার কাছে রিয়াদ হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশ। চীন সেখানে ও বিশ্বের অন্যত্র যেভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, তার উপর আমেরিকা নজর রাখছে।
কিরবি জানান, চীন ও সৌদি যে সব বিষয় নিয়ে যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তা আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ফলপ্রসূ হবে না। কিরবি এটাও জানিয়েছেন, দেশগুলো ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে একজনকে বেছে নেবে, তবে এর চেয়ে বেশি বলার কিছু নেই।