এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে; মার্কিন লেখক ও কলামিস্ট ই জিন ক্যারল১৯৯০-এর দশকে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন । বৃহস্পতিবার একটি নতুন রাষ্ট্রীয় আইন কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরে নিউইয়র্কের একটি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। যেটি যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের কয়েক দশক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতিও দেয় ৷
ক্যারলের আইনজীবী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ধষণের ফলে শারীরিক কষ্ট, মানসিক ক্ষত, এবং মাণহানির জন্য অনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ এবং শাস্তি চেয়েছেন ক্যারল।
এরআগে ২০১৯ সালের একটি বইতে প্রথমবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন ক্যারল। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ট্রাম্প তাকে ১৯৯৫ বা ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটনের একটি বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ধর্ষণ করেছিলেন।
ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বইটির অভিযোগের জবাব দিয়ে বলেছিলেন এটি কখনই ঘটতে পারে না কারণ ক্যারল ‘আমার টাইপেরই নয়।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন ক্যারল। কিন্তু সেই মামলাটি আপিল আদালতে খারিজ হয়ে যায় কারণ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন করা মন্তব্যের জন্য আইনি মামলা থেকে সুরক্ষিত ছিলেন ট্রাম্প।
এছাড়াও অতীতে, ক্যারলকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথিত ধর্ষণের মামলা দায়ের করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল কারণ ঘটনার পর অনেক বছর কেটে গেছে। নিউ ইয়র্কের নতুন আইন, তবে, যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের কয়েক দশক আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য মামলা দায়ের করার অনুমতি দেয় ক্যারল এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে ৷
এদিকে, প্রতিক্রিয়ায় একটি বিবৃতিতে, ট্রাম্প বলেছিলেন যে ক্যারল সম্পূর্ণভাবে একটি গল্প তৈরি করেছে, যে আমি তার সাথে নিউইয়র্ক সিটির একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে দেখা করেছি এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে তাকে ধর্ষণ করেছি। এটি একটি কেলেঙ্কারী এবং একটি মিথ্যা, ঠিক অন্য সমস্ত কেলেঙ্কারীর মতো যা আমার উপর গত সাত বছর ধরে খেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালত যদি শেষ পর্যন্ত মেনে নেয় যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যারলের ধর্ষণের অভিযোগ সত্য, তাহলে ট্রাম্পের জন্য পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কঠিন হবে।