১৫০০ মহিলার অবরোধের মুখে আসামিদের ছাড়তে বাধ্য হয় সৈন্যরা
ভারতের মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে বিদ্রোহ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে রবিবার সেখানে সেনাবাহিনীর হাতে আটক ১২ বন্দিকে মুক্ত করে আনে ১২০০-১৫০০ নারী বিক্ষোভকারীর একটি দল। ঘটনাটি রাজধানী ইম্ফলের পশ্চিম সীমান্তের ইথাম গ্রামের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একসঙ্গে এত নারীর অবরোধের কারণে চাপের মুখে বন্দিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। শনিবার সকালে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা মেইতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাংলেই ইয়াউল কান্না লুপের সদস্য বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এই দলটি অতীতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর অনেক হামলায় জড়িত ছিল।
শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় ‘বিদ্রোহীদের’ সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী ১২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরদিন ১২০০-১৫০০ মহিলা জড়ো হয়ে বন্দীদের মুক্তির দাবি জানান। প্রাণহানি এড়াতে সৈন্যরা দিনের শেষে বন্দীদের ছেড়ে দেয়। পরিস্থিতি স্পর্শকাতর বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এর গুরুত্ব অনুধাবন করেই বন্দীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী যদি নারীদের নেতৃত্বে বিশাল বিক্ষুব্ধ জনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করত, তাহলে অনেক প্রাণহানি হত।
খবরে বলা হয়েছে, চারদিক থেকে সেনারা ঘিরে রেখেছে। তাদের কিছুতেই এগোতে দেওয়া হয়নি। এরপর বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রুপের সদস্যদের, যাদের মুক্তি দিতে হয়েছে , তারা 2015 সালের 6টি ডোগরা ইউনিটের হামলার সাথে জড়িত বলে মনে করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
মণিপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে, বিক্ষোভে মহিলাদের ভূমিকা বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এর আগে তাদের প্রতিরোধের মুখে কখনও আটকে গিয়েছে সেনার গাড়ি, কখনও ফিরতে হয়েছে সিবিআই তদন্ত দলকে। শতাধিক নারী সেনাবাহিনীর গাড়ির সামনে বসে সম্প্রতি তাদের আটকে দেওয়ার ঘটনাও ঘটান।
2 Comments