ভারতে আবারও দুই ট্রেনের সংঘর্ষ
এর আগে, ২ জুন ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বরে একটি ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে প্রায় ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়। তবে এবার মালবাহী ট্রেন হওয়াতে মানুষের ক্ষতি হয়নি। কিন্তু একথা সত্য যে, ট্রেন রিলেটেড কেউ বার বার ট্রেনের এই মুখোমুখি সংঘর্ষের দায় এড়াতে পারে না।
ভারতে আরেকটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ভোর ৪টা নাগাদ বাঁকুড়ার ওন্দা লুপ লাইনে দুটি মালবাহী গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনায় এক মালগাড়ির চালক আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতি বেশি থাকায় মালগাড়ির ইঞ্জিন অপরটির উপর উঠে পড়ে। দুমড়ে মুচড়ে যায় একাধিক বগি। দুটি মালগাড়ি মিলিয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে ১৩টি বগি। দুর্ঘটনায় প্লাটফর্ম ও সিগন্যাল রুম সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোরে দুটি মালবাহী গাড়ির মধ্যে প্রবল সংঘর্ষের শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। এরপর স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ শুরু করেন। স্থানীয়রা মালগাড়ির চালককে উদ্ধার করে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার কারণে আদ্রা-খড়গপুর শাখায় প্রায় ১১ টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। তবে দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়। সকাল ১০টা থেকে আপ মেইন লাইন এবং আপ লুপ লাইনে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এদিকে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের আদ্রা বিভাগের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) মনীশ কুমার বলেছেন যে রেলের কর্মকর্তারা বলেছেন যে দুটি পণ্যবাহী গাড়ি খালি ছিল। আমার মনে হয় চালকের চোখ হয়তো অন্ধ ছিল তাই সে সিগন্যাল দেখতে পায়নি। চালকের ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন ডিআরএম। দুর্ঘটনাটি মারাত্মক হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
রেলওয়ের আদ্রা বিভাগ পশ্চিমবঙ্গের 48টি জেলায় পরিষেবা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং বর্ধমান। এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের ৩ টি জেলা ধানবাদ, বোকারো এবং সিংভূম দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের অধীনে রয়েছে।