পুরুষ অধিকার কমিশন চেয়ে কোর্টে মামলা
নারীদের মতো পুরুষরাও নিজেদের ঘরে নির্যাতিত হচ্ছেন, বহুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছে ভারতের বেশ কিছু সংগঠন। পুরুষদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা এসব সংগঠনগুলোর দাবি, ২০০৫ সালের ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট’ এর অর্ন্তভুক্ত করা হোক পুরুষদেরও, যাতে পরিবারে নির্যাতনের শিকার পুরুষরা ওই আইনের মাধ্যমে সুরক্ষা পেতে পারেন।
তারাই এবার, পুরুষদের সুরক্ষায় একটি জাতীয় কমিশন গঠনের দাবি তুলেছেন। ভারতে জাতীয় ও রাজ্যভিত্তিক মহিলা অধিকার সুরক্ষা কমিশন আছে। বুধবার একটি মামলায় একইভাবে পুরুষদের জন্যও অনুরূপ কমিশন গঠনের দাবি পেশ করা হয়েছে বলে ‘দ্য ওয়াল’ এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ
পুরুষ সংগঠনগুলোর পক্ষে মামলাটি করেছেন আইনজীবী মহেশ কুমার ভাট। মামলায় তিনি দেশে আত্মহত্যার পরিসংখ্যানকে প্রধান হাতিয়ার করেছেন। মামলায় বলা হয়েছে, ভারত সরকারের ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো ২০২১-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই বছর দেশে আত্মহত্যা করেছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ। আর তাদের মধ্যে ৮১,০৬৩ জনই বিবাহিত পুরুষ, অন্যদিকে ২৮,৬৮০ জন বিবাহিত নারী।
ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৩৩.২ শতাংশ পুরুষ ওই বছর পারিবারিক সমস্যার কারণে আত্মহত্যা করেন। বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে যা ৪.৮ শতাংশ। আইনজীবী ভাটের যুক্তি, এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট যে, পুরুষরাই পরিবারে বেশি বিপন্ন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ করেছে।
প্রসঙ্গত, ‘স্ত্রীর নির্যাতনের হাত থেকে স্বামীদের বাঁচাতে’ ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের দুজন বিজেপি সাংসদ ২০১৮ সালে পৃথক ‘পুরুষ কমিশন’ গঠনের দাবি তুলেছিলেন। রাজ্যটির ঘোসি কেন্দ্রের সাংসদ হরিনারায়ণ রাজভর তখন দাবি করেছিলেন, সমাজে কেবল নারীরাই নন, সমানভাবে নারীদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন পুরুষরাও।