শীতের কম্বল নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে বিজেপির এক কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান থেকে কম্বল আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত সাত জন।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে আসানসোল পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে রামকৃষ্ণ ডাঙ্গাল এলাকায় শিব চর্চা নামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫ হাজার কম্বল বিতরণেরও কথা ছিল। যদিও সেই কম্বল নিতে হাজির হয়েছিল অসংখ্য মানুষ।
সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোল পৌরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালী তিওয়ারি। ওই অনুষ্ঠানে মাত্র একটি কম্বল বিতরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর শুভেন্দু অধিকারী এই অনুষ্ঠান মঞ্চ ছেড়ে অন্য আরেকটি অনুষ্ঠানে বেরিয়ে যাওয়ার পর পাঁচটি স্টল করে সেখান থেকে বাকি কম্বলগুলো বিতরণ করতে থাকে আয়োজক কমিটির সদস্যরা। আর এসময়ই একটি স্টলে শুরু হয় প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলা।
কম্বল নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একসময় পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যেই আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আরেকজনকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এর পাশাপাশি আরও ৭ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রিয়জনের মৃত্যু ও আহতদের খবর পেয়ে হাসপাতালগুলোতে ভিড় করে তাদের স্বজনরা। এই ঘটনার পরই দুর্ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পৌঁছেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। ওই অনুষ্ঠানের কোনো অনুমতি ছিল না বলে জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার নীলকান্ত সুধীর কুমার।
এদিকে এই মৃত্যুর পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। গত সপ্তাহে শুভেন্দু অধিকারী ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বরের ডেডলাইন দিয়েছিলেন। এর মধ্যে গত ১২ ডিসেম্বর রাজ্যটির বীরভূম জেলায় সিবিআইয়ের হেফাজতে মৃত্যু হয় বগটুই গণহত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের। এরপর আজ আসানসোলের এই দুর্ঘটনা।