রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন করেছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের একটি বড় অংশ রুশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। বিশ্বের বড় বড় ক্ষমতাধর নেতারাও তাকে থামাতে পারেনি। তার অন্তর একটু কাঁপেওনি।কেন! তিনি এর আগে পরীক্ষা হিসেবে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছেন । এরপরও বিশ্ব পুতিনকে নিয়ে কিছুই করতে পারেনি। মূলত সেখান থেকেই তিনি সাহস জোগাড় করেন। মনে হচ্ছে যদি পুরো ইউক্রেন দখল করা হয়, প্রতিক্রিয়া একই হবে। সেই সাহসে পুতিন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে স্বাক্ষর করেন ।
৩০/০৯/২০২২ শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। ইউক্রেনের ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেন পুতিন।
স্বাক্ষরের আগে তিনি বক্তব্য রাখেন। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ আগেই ঘোষণা করেছিলেন শুক্রবার কী হতে পারে। স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত সবাই ‘রাশিয়া! রাশিয়া!’ বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন। আট বছর আগেও এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সে সময় পুতিন ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেন। স্বাক্ষরের সময় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, “ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিজহিয়ার জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ থেকে তারা সবাই রাশিয়ার নাগরিক। আমরা রাশিয়ান ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। .’
পুতিন বলেছেন, “আমি নিশ্চিত যে ফেডারেল অ্যাসেম্বলি রাশিয়ান ফেডারেশনের এই চারটি নতুন অংশকে সমর্থন করবে।” কারণ, এটা ছিল কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষা।
তবে এর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার ( ২৯/০৯/২০২২) আবারও বলেছেন, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়ার দখলদারীকে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই স্বীকৃতি দেবে না। তিনি ইউক্রেনের ওইসব অঞ্চলে তথাকথিত গণভোটকে মস্কোর কারখানায় তৈরি ভোট হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও বলেছেন যে তারা রাশিয়ার এই ‘ আত্মসাৎ’ স্বীকৃতি দেবে না। ইউরোপীয় কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা তীব্র ভাবে রাশিয়ার এই অন্তর্ভুক্তিকরণের নিন্দা জানাই। এর কোনো বৈধতা রাশিয়ার নেই।
কোন কিছুর পরওয়া নাকরে; অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মকর্তারা পুতিনের ঘোষণাকে সমর্থন করে করতালি ও উল্লাস প্রকাশ করেন।