November 13, 2024
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দিওয়ালি পার্টিতে মাংস-মদ, ক্ষুব্ধ হিন্দুরা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দিওয়ালি পার্টিতে মাংস-মদ, ক্ষুব্ধ হিন্দুরা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দিওয়ালি পার্টিতে মাংস-মদ, ক্ষুব্ধ হিন্দুরা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দিওয়ালি পার্টিতে মাংস-মদ, ক্ষুব্ধ হিন্দুরা

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার হিন্দুদের দিওয়ালি বা দীপাবলি উৎসবে পার্টির আয়োজন করেন। কিন্তু ওই ধর্মীয় আয়োজনে  মাংস ও মদ দেওয়া হয়। ব্রিটিশ হিন্দুরা এতে ক্ষুব্ধ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পার্টিতে কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, কুচিপুড়ি নৃত্যেরও আয়োজন করা হয় সেখানে।

কিছু ব্রিটিশ হিন্দু পার্টি-যাত্রী বেশ অবাক হয়েছেন যে রাতের খাবারের মেনুতে মদ , আমিষ জাতীয় খাবার রয়েছে। পার্টিতে অতিথিদের মেষের কাবাব, মদ এবং ওয়াইন খাওয়ানো হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন দিওয়ালি উদযাপনের সময় অ্যালকোহল এবং আমিষ খাবার পরিবেশন করা হয়নি।

বিশিষ্ট ব্রিটিশ হিন্দু পণ্ডিত সতীশ কে শর্মা অভিযোগ করেছেন যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাদের সাথে সামান্যতম আলোচনাও করেনি।

মাইক্রো-ব্লগিং সাইট এক্স-এ পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “গত ১৪ বছরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দীপাবলি উদযাপনে কোনো মাংস বা অ্যালকোহল পরিবেশন করা হয়নি।  এবারে  আমি হতাশ এবং বেশ অবাক হয়েছি। এই বছরের অনুষ্ঠানটি দেখেছি। যেমন এটি একটি মদ এবং মাংসের ঘটনা ছিল এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা এতটা উন্মাদ।”

এই হিন্দু পণ্ডিত বলেন, ভুল করে যদি তা হয়ে যায়, তবুও হতাশাজনক। তবে এটা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয় তাহলে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়া উচিত।

ইনসাইড ইউকে নামক একটি ব্রিটিশ হিন্দু এবং ভারতীয় সামাজিক অধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, একটি পবিত্র অনুষ্ঠান ছিল মাংস এবং অ্যালকোহলে পূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে শিক্ষিত হতে হবে বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।

ধর্মীয় তাৎপর্য

হিন্দু ধর্মমতে  “দিওয়ালি” বা দীপাবলী  নামের অর্থ হল “প্রদীপের সমষ্টি” এই দিনে হিন্দুরা ঘরে ঘরে ছোট ছোট মাটির প্রদীপ জ্বালায়। দীপাবলি উপলক্ষে সারি সারি প্রদীপ জ্বালিয়ে স্বর্গের দেবতাকে স্বাগত জানানো হয় বাড়িতে। এই প্রদীপ জ্বালানো মন্দ থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রতীক। উত্তর ভারতেও দীপাবলিতে নতুন জামাকাপড় পরার, পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করার প্রথা রয়েছে।

আরো পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X