ভেনিসে মসজিদ বন্ধের প্রতিবাদে পার্কে জুমার নামাজ
ভেনিস, “খালের শহর”, “ভাসমান শহর” এবং “সেরেনিসিমা” নামেও পরিচিত, এটি ইতালির সবচেয়ে মনোরম শহরগুলির মধ্যে একটি। এর ঘূর্ণায়মান খাল, আকর্ষণীয় স্থাপত্য এবং সুন্দর সেতু সহ, ভেনিস ভ্রমণের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য।
ইতালির ভেনিসের ভায়া পিয়াভে মসজিদুল ইত্তেহাদে নামাজসহ সব ধর্মীয় কার্যক্রম স্থগিত করার প্রতিবাদে মুসল্লিরা দ্বিতীয়বারের মতো স্থানীয় একটি পার্কের খোলা জায়গায় জুমার নামাজ আদায় করেছেন।
ভেনিসের মেস্তরে পিরাগেটো পার্কে আয়োজিত জুমার নামাজে প্রায় ১০০০ মুসল্লি অংশ নেন। এর আগে গত ৫ জুলাই একই স্থানে জুমার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
নামাজের খুতবায় মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, “আজকে মসজিদুল ইত্তেহাদে নামাজ বন্ধ করা হয়েছে। আগামীকাল হয়তো আরেকটি বন্ধ থাকবে। এভাবে ধীরে ধীরে তারা মুসলমানদের সব উপাসনালয় বন্ধ করে দেবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ গড়ে তুলতে না পারি। , প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারি , সে দিন বেশি দূরে নয়; তারা শুধু নামাজের জায়গাই বন্ধ করে দেবে না, তারা পবিত্র কোরআন নিয়ে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ কথা লিখবে এবং পবিত্র কোরআনের অবমাননা করবে এতে মুসলমানের কলিজা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইত্তেহাদ জানায়, যতদিন মসজিদে নামাজের অনুমতি না দেওয়া হবে ততদিন আন্দোলনের অংশ হিসেবে পার্কে নামাজ আদায় করা হবে।
ইমাম আরিফ মাহমুদ বলেন, আমরা জানি নিরিবিলি পার্কে নামাজ পড়লে প্রশাসন নড়বে না। তবে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার চেষ্টা করছি। ভোগান্তিতে পড়বে নগরবাসী তা আমরা চাইনা । তবে বাধ্য করা হলে আমরা মেস্ত্রে থেকে ভেনিসের মেয়র কার্যালয় পর্যন্ত লংমার্চ, সমাবেশ, অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।
তিনি ভেনিসের সকল মুসলমানকে আগামী শুক্রবার (১৯ জুলাই) পারকো পিরাগেটোতে নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং সেখান থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে রোববার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অজুহাতে Via Corso del Popolo Interspar (ভিয়া কোরসো দেল পপলোস্থ ইন্তারস্পার) এর সামনে। মসজিদুল ইত্তেহাদের পক্ষ থেকে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মসজিদুল ইত্তেহাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে হাইকোর্ট স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক ভেনিসের পাশের শহর মনফালকোনের দুটি নামাজের স্থানে ধর্মীয় কাজ করা স্থানীয় প্রশাসন বন্ধ করে দিলে উচ্চ আদালত তা বাতিল করে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়। কিন্তু কিছু ইসলাম বিদ্বেষী আদালতের রায় অমান্য করেছে এবং মসজিদের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছে। ১০ জুলাই তারা পবিত্র কোরআনের একটি পৃষ্ঠার একটি অংশ পুড়িয়ে দেয় এবং এর নীচে একটি অত্যন্ত জঘন্য ভাষায় কোরআনের অবমাননা করে যা কোনো সভ্য সমাজে উল্লেখ করা যায় না।