ইস্তাম্বুলে ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় ৬ জন নিহত, ৮১ জন আহত
ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল। এরপর বেশ কয়েকজনকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। মৃত না জীবিত বোঝার উপায় নেই। রোববার ইস্তাম্বুলে ভয়াবহ বোমা হামলার টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা গেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত ও ৮১ জন আহত হয়েছেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু বলেছেন, বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনকে তারা গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া অন্তত ২১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রোববারের হামলার পর প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০ জন বলে জানা গেছে। কিন্তু শীঘ্রই পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে গেল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে বেশ কিছু ফুটেজ। পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানান, এ ঘটনায় ছয়জন নিহত ও ৮১ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরদোগান এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী’ হামলা বলে অভিহিত করেছেন।
ইস্তাম্বুলে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। রোববার (১৩ নভেম্বর) শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই হুশিয়ারি দেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে সন্ত্রাসী হামলার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে তুরস্কের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী সম্পূর্ণ তদন্ত না করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাচ্ছে না।
ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়ারলিকায়া বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টায় বিস্ফোরণটি ঘটে। শহরের তাকসিম এলাকায় স্থানীয় সময়। সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে বিখ্যাত ইস্তিকলাল স্ট্রিটে নিথর মৃতদেহ দেখা গেছে, যেখান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এখন ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের সরিয়ে নিতে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসে।
এদিকে ইস্তাম্বুলে এর আগেও বোমা হামলা হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে, ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রে একটি বিশাল বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত হয়েছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে সুলতানহামেট স্কোয়ারে বিস্ফোরণটি ঘটে। এরপর ২০১৭ সালে একটি নাইট ক্লাবে ১৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু তারপর এমন ঘটনা এই প্রথম।