November 22, 2024
ইউক্রেনে এক লাখেরও বেশি রুশ সেনা নিহত: যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে এক লাখেরও বেশি রুশ সেনা নিহত: যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে এক লাখেরও বেশি রুশ সেনা নিহত: যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে এক লাখেরও বেশি রুশ সেনা নিহত: যুক্তরাষ্ট্র

সাড়ে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি রুশ সামরিক বাহিনীর হতাহতের খবরও সামনে এসেছে। তবে, রাশিয়া খুব কমই প্রকাশ্যে তার ক্ষতি সম্পর্কে মন্তব্য করে।

তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেল ১০ নভেম্বর  বলছেন, ইউক্রেনে নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। বৃহস্পতিবার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে গিয়ে এক লাখেরও বেশি রুশ সেনা নিহত ও আহত হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলি। তিনি দাবি করেছেন যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী “সম্ভবত” রাশিয়ান হামলায় একই রকমের হতাহতের শিকার হয়েছে।

তবে, মার্কিন জেনারেলের সামনে আনা এই পরিসংখ্যানটি স্বাধীনভাবে যাচাই বা নিশ্চিত করা যায়নি,তবে জেনারেল মিলির মন্তব্য প্রায় নয় মাস পুরনো সংঘাতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রুশ সামরিক হতাহতের হিসাব হিসেবে সামনে এসেছে।

অন্যদিকে, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ আসন্ন শীতে শিথিল হওয়ার সময় হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যা উভয় পক্ষের মধ্যে এক ধরণের আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে পারে।

এবং তাই ইউক্রেনের সংকট সমাধানে কূটনীতির সম্ভাব্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, জেনারেল মিলি উল্লেখ করেন যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে আলোচনায় প্রথম প্রত্যাখ্যানের পরে, মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায় এবং আরও লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হয়।

জেনারেল মিলি নিউইয়র্কের ইকোনমিক ক্লাবকে বলেছেন, “তাই যখন আলোচনার সুযোগ আছে, যখন শান্তি স্থাপন করা যেতে পারে (আলোচনার মাধ্যমে). সেই মুহূর্তটি দখল করুন।”

মার্ক মিলি বলেন, প্রায় নয় মাসের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৫ মিলিয়ন থেকে ৩০ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সম্ভবত ৪০,০০০ ইউক্রেনীয় নাগরিক নিহত হয়েছে।

মিলি আরও বলেন, চলমান এই যুদ্ধে এক লাখের বেশি রুশ সেনা নিহত ও আহত হয়েছে। একই সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ইউক্রেন বাহিনীকেও। এটা বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য একটি বড় দুর্ভোগ।’

মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও মস্কো ইউক্রেনে তার উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় রাশিয়া আর কতদিন এভাবে হামলা চালিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X