আগামীকাল (১৪/১০/২০২২) থেকে জার্মানির কোলোনে মসজিদ থেকে জুমার আজান শোনা যাবে
আগামীকাল শুক্রবার থেকে জার্মানির কোলনের এহরেনফেল্ড এলাকার কেন্দ্রীয় মসজিদে মাইকের মাধ্যমে জুমার নামাজের আযান দেওয়া হবে। এক বছর আগে জুমার আজান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শহরের মেয়র হেনরিয়েট রেকার। কিন্তু নানা বিতর্কের কারণে এতদিন আটকে ছিল তা।
কোলোন শহরের কর্তৃপক্ষ এবং জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কি নাগরিকদের সমিতি “দিতিব” এর মধ্যে একটি সাধারণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, শহরের মুখপাত্র বলেছেন। এর মাধ্যমে মাইকে জুমার আজান দেওয়ার বিষয়টি কার্যকর হয়েছে।
মুখপাত্র আরও বলেন যে প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২.০০ থেকে ৩.০০ টার মধ্যে মুয়াজ্জিন সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের জন্য আযান দিতে পারবে । আজানের শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আযানের এই পাইলট প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে দুই বছর ধরে নেওয়া হয়েছে।
জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে ৫০ লাখেরও বেশি মুসলমান বসবাস করছেন। দেশের বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু মসজিদ রয়েছে। তবে সেখানে মাইক ব্যবহার করে আজান দেওয়ার অনুমতি নেই।
তুর্কি নাগরিকদের সংগঠন দিতিব কোলোন শহরের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, স্থানীয় অন্যান্য ধর্মের মানুষকে আজান সম্পর্কে জানানোর জন্য লিফলেট বিতরণ করা হবে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মসজিদে এক তথ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জার্মান আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ধর্মীয় অনুশীলনের স্বাধীনতা রয়েছে। আযানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মেয়র রেকার বলেন, তার এই উদ্যোগ আইনে ন্যায়সঙ্গত। কোলন শহরে জন্মগ্রহণকারী অনেক মুসলমান শহর ও সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এদিকে, বার্লিন-ভিত্তিক ইসলামি বিশেষজ্ঞ আহমদ মনসুর নামাজের আযান দেওয়ার বিষয়টিকে “রাজনীতিতে ইসলামের শক্তি প্রদর্শন” বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি মনে করেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান দিতিবের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। জার্মানি সফরে এরদোগান মসজিদটি উদ্বোধনও করেন।
আহমদ মনসুর প্রশ্ন তুলেছেন, জার্মান সমাজে ইসলামের অবস্থান কী? ইসলাম কি আসলেই সমান অধিকার পাচ্ছে? যদি তাই হয়, তাহলে মুসলমানদের উচিত সরকারি ছুটির দিন এবং বিভিন্ন ছুটি ও অবসরে তাদের এ দাবির জন্য নিয়ম তান্ত্রিক আন্দোলন করা।