বাবা কার্ল সিউন ডেটলফ বার্গস্ট্রোম ১৯৮২ সালে মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। ৪০ বছর পর, ২০২২ সালে, তাঁর ছেলে সোভান্তে পাবো একই বিভাগে নোবেল জিতেছেন । সোমবার (৩ অক্টোবর) সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে নোবেল সমাবেশে তার নাম ঘোষণা করা হয়। তার বাবা কার্ল সিউন ডেটলফ বার্গস্ট্রোমও চিকিৎসা বা শারীরবৃত্তে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। নোবেলের ইতিহাসে বাবা-ছেলের পুরস্কার জয় এই প্রথম নয় এরকম হাফ ডজনের উপরে। সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা ও অ্যাশকে সালামি এ সকল পরিবারের প্রতি।
নোবেল ফাউন্ডেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাবো বলেন, তার জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তার মা করিন পাবো। তিনি একজন রসায়নবিদ ছিলেন। এবং মায়ের খুব কাছের মানুষ ছিলেন পাবো ।
বার্গস্ট্রমের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানী পাবোর বাবা। এই বিষয়টি থেকেও একটি শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজয়ী। পাবোর ভাষায়, ”নোবেল বিজয়ীরাও আসলে সাধারণ মানুষ।’
পাবোর জন্ম সুইডেনে। নিয়ান্ডারথালরা ছিল আজকের মানব প্রজাতির বিলুপ্ত পূর্বপুরুষ। পাবো সেই নিয়ান্ডারথালের জিনোম পরীক্ষা করেছিলেন। এই সুইডিশ বিজ্ঞানী বর্তমান মানব প্রজাতির আরেক পূর্বপুরুষ হোমিনিন নিয়েও গবেষণা করেছেন। গবেষণায় তিনি জানতে পেরেছেন যে সেই বিলুপ্ত প্রজাতি থেকে বর্তমান মানব প্রজাতির শরীরে জিন স্থানান্তরিত হয়।
এটি কীভাবে ঘটল, এর প্রভাব কী, আমি মনে করি এই সমস্ত আজকের পরিস্থিতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই গবেষণার ফলে , বিজ্ঞানীরা আরও ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রমণের প্রতিক্রিয়া কীভাবে করে।