কমলা হ্যারিস গড়তে পারেন ইতিহাস!
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়ে কমলা হারিস ইতিহাস গড়ে দিতে পারেন। হ্যাঁ হয়ে যেতে পারে তার বিপরীতও, মাঝখানে একবার বিরতি দিয়ে আসতে পারেন আবারো ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে নিয়ে চলছে বিশ্বব্যাপী নানা বিশ্লেষণ।
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্রুত ঘনিয়ে আসছে। প্রচারণার আর এক মাসেরও কম বাকি। এরপর ৫ নভেম্বর নির্বাচনী লড়াই। কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট! প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেছনের পুরুষতান্ত্রিকতার রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস! নাকি রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায় উঠবে বিজয়ের মালা! এটি এখন বিশ্বব্যাপী বিশ্লেষণ হচ্ছে।
সবাই তাকিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতি নির্ভর করে কে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তার ওপর। এ কারণেই বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতি রয়েছে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে চলছে প্রচারণা যুদ্ধ। প্রচারণায় নেমে পড়েছেন দলের বাঘা বাঘা নেতাকর্মীরাও।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাট বারাক ওবামাও বসে নেই। তিনি দেশের কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি এক আন্তরিক আবেদন করেন। কমলা হ্যারিসের পাশে থাকার আবেদন। তার আবেদনে অনেক গুরুত্ব বললেই চলে। কারণ সে নিজেও কৃষ্ণাঙ্গ বংশোদ্ভূত। আশা করা যায় তার ডাক কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায় পরিত্যাগ করবে না। বারাক ওবামা পেনসিলভানিয়ার সুইং স্টেট কমলা হ্যারিসের প্রচার অফিসে অঘোষিত উপস্থিতিই তার প্ৰমাণ। তিনি সমস্ত কারণ এবং অজুহাত উল্লেখ করে একজন মহিলা রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে সমর্থন না করার জন্য পুরুষ ভোটারদের সমালোচনা করেন।
তিনি পরে ট্রাম্পের দুই ঘণ্টার বক্তৃতা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত বক্তব্যের সমালোচনা করেন। বৃহস্পতিবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের যুদ্ধক্ষেত্রে ভাষণ দিতে গিয়ে ওবামা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, কমলা হ্যারিস নির্বাচিত না হলে দেশটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। এটি ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় যে একটি কঠিন নির্বাচনী ব্যবধানে জয় বা পরাজয়ের ব্যবধান নির্ধারিত হবে।
কমলা হ্যারিস এম রাজ্যে কালো ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ কালারড পিপলের সেপ্টেম্বরের এক জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ৫০ বছরের কম বয়সী চার কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের মধ্যে একজন নভেম্বর নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবে। এ কারণেই ওবামা কালো পুরুষ ভোটারদের প্রতি তিরস্কারের সুরে কথা বলেছেন। তিনি কমলা হ্যারিস সম্পর্কে বলেন, সে তোমাদের মতো বড় হয়েছে, তোমাদেরকে চিনেছে, তোমাদের সাথে কলেজে গেছে, সংগ্রাম বুঝতে শিখেছে, অনেক হাসি-বেদনার মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। অন্যদিকে ট্রাম্প অবমাননা নিয়ে এসেছেন। তিনি শুধু সমাজকে অবজ্ঞা করেননি। সেই সাথে সে তোমাদের মত ব্যক্তিকেও তুচ্ছ করেছে।
আরো পড়তে