ট্রাম্পের পর এবার গুলির নিশানায় কমলা হ্যারিস! ডেমোক্র্যাটদের প্রচার দপ্তরে চলল গুলি
এবার কমলা হ্যারিসের প্রচার কার্যালয় গুলিবিদ্ধ! ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যে দুবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এবার ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসের কার্যালয়ে গুলি চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সঙ্গে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পর উদ্বেগ বাড়ছে।
- রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প জুলাইয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় মারাত্মক হামলার শিকার হন।
- আরেক প্রার্থী ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসের প্রচার কার্যালয়ও গুলিবিদ্ধ!
- মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই ঘটনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাড়ছে উৎকন্ঠা
- ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান এই দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নিরাপত্তা বড় প্রশ্নের মুখে।
রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প জুলাইয়ে প্রচারণা চালানোর সময় মারাত্মক হামলার শিকার হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর কানের কাছে গুলি করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে আরেক প্রার্থী ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসের প্রচার অফিস গুলিবিদ্ধ! মঙ্গলবার মধ্যরাতে এই ঘটনায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
চলতি বছরের নভেম্বরে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পুরোদমে চলছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। কিন্তু এ ধরনের ঘটনায় ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নিরাপত্তা বড় প্রশ্নের মুখে। রয়টার্সের মতে, অ্যারিজোনার সাউদার্ন অ্যাভিনিউতে প্রিস্ট ড্রাইভের কাছে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির ক্যাম্পেইন অফিসে গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এখানে ১৮ জন সদস্য কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। বুধবার সকালে অফিসের সামনের জানালার কাচ ভাঙা দেখতে পান কর্মীরা। সেখানে গুলির চিহ্নও রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও গোয়েন্দা দল।
এ ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, গুলি চালানোর সময় সেখানে কেউ উপস্থিত ছিল না। ফলে হতাহতের কোনো খবর নেই। কমলা হ্যারিসের ক্যাম্পেইন অফিসে কে এবং কেন গুলি চালিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ঘটনাটি বার্তা দেয় , অ্যারিজোনা ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ার ইয়োলান্ডা বেজারানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে অ্যারিজোনায় ডেমোক্রেটিক পার্টি সহিংসতার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের সঙ্গে কাজ করব।” শুক্রবার তার অ্যারিজোনায় যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। তার আগেই এই ঘটনা পুলিশ প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে। শক্তিশালী
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী সমাবেশে হামলার শিকার হন ট্রাম্প। রিপাবলিকান পার্টির সদস্য থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামে বিশ বছর বয়সী এক যুবক তাকে গুলি করে। ট্রাম্পের কান লক্ষ করে গুলি বেরিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থলেই মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপারের গুলিতে থমাস নিহত হন। এই ঘটনায় নিরাপত্তা ফাঁক নিয়ে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। সিক্রেট সার্ভিসের পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। সেপ্টেম্বরে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের গলফ ক্লাবেও গুলি চালানো হয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ককে আটক করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রও জব্দ করা হয়েছে।