অতীতে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন যেসব মার্কিন প্রেসিডেন্ট
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। কড়া বক্তব্য ও মন্তব্য করে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন এই দুই প্রার্থী। এরই মধ্যে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণায় হত্যাচেষ্টার শিকার হন ট্রাম্প। প্রাক্তন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের কানে গুলি লাগে এবং গুলি কান দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে, তিনজন অল্পের জন্য হামলা থেকে রক্ষা পান
এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন এবং জিমি কার্টার হামলার নিন্দা করেছেন। তবে এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটেছে বহুবার। এর আগে চার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া সাতজন হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন।
যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের মধ্যে রয়েছে আব্রাহাম লিংকন (১৮৬৫), জেমস গারফিল্ড (১৮৮১), উইলিয়াম ম্যাককিনলে (১৯০১), জন এফ কেনেডি (১৯৬৫), এবং রাষ্ট্রপতি প্রার্থী রবার্ট এফ কেনেডি (১৬৬৮)।
নির্বাচনের আমেজ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বিতর্কে অংশ নেন বাইডেন ট্রাম্পও। নির্বাচনের মেজাজ যখন জমে উঠতে শুরু করেছে ঠিক তখনই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু ট্রাম্পই নন, একাধিক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন।
সিএনএন জানায়, চার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা বেঁচে যান। তারা হলেন।
প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনকে হত্যার চেষ্টা। শেষকৃত্য অনুষ্ঠান চলাকালীন তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়। এ সময় তাকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি করা হয়। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি।
থিওডোর রোজভেল্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন। ১৯১২ সালে নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।। একজন সেলুন কর্মী তাকে গুলি করে।
হামলার পর, রুজভেল্ট বলেছিলেন যে তার কাছে থাকা ৫০ পৃষ্ঠার বক্তৃতার অনুলিপিটি বুলেটের গতি কমিয়ে দিয়েছে। তাকে সারাজীবন শরীরে বহন করতে হয়েছে। হামলার পরও তিনি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টকে ১৯৩৩ সালে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছিল। সে সময়, তিনি কোনোভাবে হামলা থেকে রক্ষা পান, কিন্তু শিকাগোর মেয়র আন্তন সেরমাককে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হেনরি এস ট্রুম্যান
ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের স্থলাভিষিক্ত হন হ্যারি এস ট্রুম্যান। ১৯৫০ সালে তিনি একটি হত্যা প্রচেষ্টার শিকার হন। পুয়ের্তো রিকান জাতীয়তাবাদীরা তার উপর গুলি চালায়।
জর্জ ওয়ালেস
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যের চারবার নির্বাচিত গভর্নর ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে তৃতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির বাইরে প্রচারণা চালানোর সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। ফলে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
জেরাল্ড ফোর্ড
প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জেরাল্ড ফোর্ড ১৯৭৫ সালে দুটি হত্যা প্রচেষ্টার শিকার হন। এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যাক্রামেন্টোতে হামলার আগে একবার এটি বন্ধ করা হয়েছিল। এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর সান ফ্রান্সিসকোতে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এক পথচারীর কারণে তিনি বেঁচে যান।
রোনাল্ড রিগান
১৯৮১ সালে ওয়াশিংটন ডিসির হিলটনের বাইরে বক্তৃতা দেওয়ার পরে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তার প্রেস সেক্রেটারি জেমস ব্র্যাডি তার চেয়ে গুরুতর আহত হন।
তার আক্রমণকারীকে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একটি মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। ২০২২ সালে আদালতের তত্ত্বাবধানে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বারাক ওবামা
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও হত্যা চেষ্টা করা হয়। তিনি ২০১১ সালে হোয়াইট হাউসে একটি হত্যা প্রচেষ্টার শিকার হন।
উল্লেখ্য যে মার্কিন আইন অনুযায়ী, সমস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট আজীবন সিক্রেট সার্ভিস দ্বারা সুরক্ষিত।
Read more…
1 Comment