November 21, 2024
রেকর্ড ২০১ রানে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দিলেন ম্যাক্সওয়েল

রেকর্ড ২০১ রানে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দিলেন ম্যাক্সওয়েল

রেকর্ড ২০১ রানে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দিলেন ম্যাক্সওয়েল

রেকর্ড ২০১ রানে অপরাজিত থেকে অস্ট্রেলিয়াকে জয় এনে দিলেন ম্যাক্সওয়েল

গ্লেন জেমস ম্যাক্সওয়েল: (জন্ম-অক্টোবর,১৪, ১৯৮৮) একজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। তিনি  প্রথম থেকেই অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে, তিনি তার দীর্ঘদিনেরসঙ্গী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভিনি রমনকে বিয়ে করেন। ২০১৩ সালের আইপিএল নিলামে ম্যাক্সওয়েলকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ১০ লাখ মার্কিন ডলারে কিনেছিল, যা তাকে সর্বোচ্চ অর্থে কেনা বিদেশী খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে। ৭ নভেম্বর ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপে বনাম আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েল প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেন (১২৮ বলে ২০১* অপরাজিত)

অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হিসেবে তিনি অকল্পনীয়ভাবে আফগানিস্তানকে পরাজিত করেন। ম্যাচের পর, অজি ব্যাটার, যিনি ২০১* রানের ইতিহাস সৃষ্টিকারী ইনিংস খেলে জয় ছিনিয়ে নেন, তিনি বলেন যে তার আনন্দের অনুভূতির কোনও ভাষা নেই। কিন্তু ম্যাক্সওয়েল যখন অতিমানবিক থেকেও বড় কিছু হয়ে উঠবে, তখন অকল্পনীয় ঘটনা ঘটবেই ।আর ওইটাকে খুবই স্বাভাবিক ঘটনাই মনে হবে ।

মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের দেওয়া ২৯২ রানের লক্ষ্যের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া ৫১  রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া । এরপর অষ্টম উইকেটে প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ২০২ রানের অপরাজিত জুটিতে জয় তুলে নেন ম্যাক্সওয়েল। তিনি ১২৮ বলে ২১ চার ও ১০ ছক্কায় ২০১* রান করেন। ক্যাপ্টেন কামিন্স ৬৮ বলে ১২ রান করে দলকে আগলে রাখেন। ম্যাচের পর ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, “ভালো লাগছে, যদিও অনুভূতিটা খুব একটা ভালো কাজ করছে না। দারুণ ছিল আমি ভেবেছিলাম প্যাটি (প্যাট কামিন্স) এবং আমি মজা করছিলাম।’

ম্যাক্সওয়েলকে পুরো ম্যাচেই খুঁড়িয়ে হাটতে দেখা যায়। পায়ের চোটের কারণে অনেক সিঙ্গেল নেয়া মিস করেছেন এই  অজি ব্যাটার।

ইনজুরি নিয়ে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হয়তো পরিস্থিতি আরও বুঝতে পারব, আশা করছি হ্যামস্ট্রিং এবং পায়ের পেছনের পেশিতে নড়াচড়া ফিরে পাব। বর্তমানে অবস্থা বেশ খারাপ।

ম্যাক্সওয়েল বলেন, আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানকে দেখে খেলায়ই  সাফল্য পেয়েছেন তিনি। ম্যাক্সি বলেছেন, “আমরা জানতাম শেষ ১৩ ওভারে রশিদের ১৮ বল বাকি ছিল। রশিদকে ম্যাচে প্রভাব ফেলতে না দিয়ে, আমি অনুভব করেছি যে আমি অন্য বোলারদের বাউন্ডারির জন্য আঘাত করতে পারি। রশিদকে অকার্যকর করার দিকে মনোনিবেশ করেছি, চাইনি যে সে খেলায় ছন্দ পাক। শেষ পর্যন্ত রশিদকে হারাতে পারলে সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সাবেক পাকিস্তানি লিজেন্ড ওয়াসিম আকরাম বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলেছি এবং তারপর থেকে এই খেলায় কাজ করছি। ‘ম্যাক্সওয়েল  বিশ্বকাপে প্রথম  অপরাজিত ২০১ রান করে দেখিয়েছেন, তিনি এখন ওয়ানডে সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু আমি এমন মজার  আগ্রাসী  ইনিংস আর কক্ষনোই দেখিনি।

টানা দুই হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচের পর অনেকেই লিগ পর্ব থেকে অজিদের বিদায় নিয়ে আশঙ্কা করেছিলেন। টানা ৬ জয় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচের পর অনেকেই আমাদের বিশ্বকাপ থেকে বাদ দিয়েছিলেন। আমরা যথাসময়ে টানা ছয়টি ম্যাচ জিতেছি। এবং আমরা এইরকম একটি উত্সাহী উদ্যমী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের সেরা খেলতে পারিনি। তাই সেমিফাইনালে পৌঁছানোটা দারুণ অনুভূতি।

রাউন্ড রবিন লিগে অস্ট্রেলিয়ার শেষ ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১১ নভেম্বর পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেননি ম্যাক্সওয়েল। ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে আহমেদাবাদের একটি গলফ কোর্সে সতীর্থদের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিলেন তিনি। একটি রাউন্ড খেলার পর, গলফ কার্ট  ক্লাবহাউস থেকে টিম বাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় তিনি হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে চলন্ত গাড়ির পিছন থেকে পড়ে যান এবং মাথায় আঘাত পান।

তবে এমন ইনজুরিতে পড়তে চান না ম্যাক্সওয়েল। এখন থেকে সাবধান। তিনি বলেন, আপাতত গলফ কার্ট থেকে দূরে থাকবেন, ‘গত দুই সপ্তাহ খুব ব্যস্ত সময় পার করছি। এটা একটা অদ্ভুত দুই সপ্তাহ হয়েছে. প্রথম দুই ম্যাচের পর অনেকেই আমাদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তারপরেও যথাসময়ে পরপর ছয়টি জয়। আর কয়েকদিন গলফ কার্ট থেকে দূরে থাকবো।

কিছু কিছু আনন্দদায়ক দাপুটে ঘটনা সকলের মনেই দাগ কেটে যায় ।  একজন অসুস্থ খেলোয়াড় ১২৮  বলে  একুষটি চার ও দশটি ছক্কা মেরে ২০১ রানে অপরাজিত থেকে ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জিতায়ে  দেওয়ার পর হয়তোবা আফগানিস্তানের বেদনাটাও মানুষের কাছে তেমনটা মনে হয়নি ।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২৮বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস দেখার পর অবশ্যই এমন অনুভূতি হয়েছিল।যে ইনিংসে রেকর্ড ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে, ব্যাটসম্যানের ব্যাটের  বা পায়ের কাজ চলে গেছে অভিধানের  বহুদূরে ,  অবিশ্বাস্য কীর্তি হাস্যকরভাবে সেখনে অ্যাক্সেসযোগ্য, অকল্পনীয় ঘটনা ঘটে এক মুহূর্তের মধ্যে সব খেলোয়াড়দের রেকর্ড খাতা সেখানে পিনবদ্ধ ! এক সময় মনে হয়েছে  ম্যাক্সওয়েল একাই মাঠে খেলছেন, আর বাকি সবাই শুধু দেখছেন!

আরও জানতে

৬ বলে ৬ উইকেট, চমকে উঠল ক্রিকেট বিশ্ব

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X