কোভিডের কারণে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে চীনেঃ গবেষকদের ধারণা
কোভিড আক্রান্ত হয়ে চীনে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে। এমন ভবিষ্যতবাণীই করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। চীনে কোভিডে কত মানুষের মৃত্যু হতে পারে তা নিয়ে এ সংক্রান্ত একটি মডেল প্রকাশ করেছেন তারা। এতেই দেখা গেছে, সামনে চীনে ভয়াবহ সময় আসতে চলেছে।
গোটা বিশ্ব যখন কোভিডে ভুগছিল তখন অনেকটা কোভিড মুক্ত ছিল চীন। এবার যখন বিশ্বে কোভিড নিয়ে আলোচনা নেই, তখন চীনে কোভিড নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে সামনে দেশটিতে কত মানুষের মৃত্যু হতে পারে তা নিয়ে গবেষণায় নেমে গেছেন বিশেষজ্ঞরা। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের সদস্য জেমস উড বলেন, আমাদের মনে কোনও সন্দেহ নেই যে আগামী কয়েক মাস চীনের জন্য খুবই কঠিন হতে চলেছে। গবেষণার মডেল অনুযায়ী, যদি অধিকাংশ নাগরিককে চীনের প্রশাসন কোভিড ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ জিতে পারে, তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
তবে ফের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়।
গত এক মাস ধরেই ক্রমেই শিথিল করা হচ্ছে এসব বিধিনিষেধ। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিধিনিষেধ না থাকায় পুরোদমে ছড়িয়ে পড়বে কোভিড। বিভিন্ন পশ্চিমা মিডিয়ার তরফে দাবি করা হচ্ছে, বর্তমানে দিনে প্রায় ১৫০ জন করে কোভিডে মারা যাচ্ছেন। যদিও চীন সরকারের তথ্য বলছে কোভিডে মৃত্যু নেই দেশে।
গবেষণা সংস্থার দাবি, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী বছর ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে চীনে। পাশাপাশি চীন যদি নিজেদের পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দেয়, তাহলে কোভিড ফের বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমেরিকান গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অফ হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিলে চীনে কোভিড সংক্রমণ শীর্ষে উঠেছিল। ওই সময় ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তবে সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আসতে দেয়নি শি জিনপিং সরকার। মূলত এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জেরেই ‘জিরো কোভিড’ নীতি আরোপ করেছিল জিনপিং সরকার। আনুষ্ঠানিক হিসেবে চীনে ২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্তমৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের ।