March 4, 2025
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন শহীদ আবরার ফাহাদ

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন শহীদ আবরার ফাহাদ

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন শহীদ আবরার ফাহাদ

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন শহীদ আবরার ফাহাদ

১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ এই স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। এবার সেই পুরস্কারদের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ শহীদের নাম নির্বাচিত হয়েছে। তিনি হলেন ভারতীয় আগ্রাসনের অন্যতম মূর্তপ্রতীক (ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বর, অমানবিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীর অকথ্য নির্যাতনে নিহত বুয়েটের মেধাবী ছাত্র) শহীদ আবরার ফাহাদ

অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসের প্রতীক, মুক্তচিন্তার প্রতিফলন – আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার ত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে এবং ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আইডি থেকে এক স্ট্যাটাসে এই তথ্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, আবরার ফাহাদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসের প্রতীক, মুক্তচিন্তার প্রতিফলন – আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার ত্যাগের স্বীকৃতি। তার আদর্শ আমাদের আলোকিত করে এবং ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল কর্মী পিটিয়ে হত্যা করে। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর আদালত ২০ জন বুয়েট ছাত্রকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

শহীদ আবরার ফাহাদ

আবরার ফাহাদ (১২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯৮ – ৭ অক্টোবর, ২০১৯) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার কিছু নেতা তাকে রাত্রিভর নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, আবরার ফাহাদ নামের ওই ছাত্রকে ভোঁতা বস্তু দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি সন্দেহ করছে যে, আবরার তার করা একটি ফেসবুক পোস্টের কারণেই আক্রমণের শিকার হয়েছেন, যা ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিছু চুক্তির সমালোচনা করে বলে মনে হচ্ছে।

আবরার ফাহাদের জন্ম বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায়। তার গ্রাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মাতার নাম রোকেয়া খাতুন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন।

তার বাবা বরকত উল্লাহ ব্র্যাকের একজন অডিটর ছিলেন এবং তার মা রোকেয়া খাতুন একজন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষিকা ছিলেন। আবরার দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন, আর তার ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এইচএসসির ছাত্র ছিলেন। ফায়াজ শেরেবাংলা হলের কাছে ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকতেন এ এখন সেও বুয়েটের ছাত্র।

আরো পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X