বইমেলায় পাতা হলো ‘শেখ হাসিনা ডাস্টবিন’
অমর একুশে বইমেলায় পতনশীল আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাফিতি সম্বলিত একটি ডাস্টবিন দেখা গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টলের সামনে ডাস্টবিনগুলো রাখা হয়েছে। তবে মেলার অন্য কোথাও এমন ডাস্টবিন আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বলেছিল, কিন্তু সে রাজি হয়নি । এখন তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে চলে যেতে হয়। বলেছিল একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করুন, পদত্যাগ করার কোন প্রয়োজন নেই। যারা জিতবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, পদত্যাগে কোন লজ্জা থাকবে না। তাতেও রাজি হয়নি সে । এখন সে পদত্যাগ করে কোনোমতে পালিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ কখনও এত অপমান, এত লজ্জার মুখোমুখি হয়নি। যখন কেউ নিপীড়ন ও অত্যাচার করে তখন এমনই হয়। আজীবন চলবে তার অপমান, এই ডাস্টবিন তারই নজীর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অমর একুশে বইমেলা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। বাংলা একাডেমি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার সাথে মেলা প্রাঙ্গণে যান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টল পরিদর্শন করার সময় তাকে শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ডাস্টবিনে টিস্যু পেপার ছুঁড়ে ফেলতে দেখা যায়। পরে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ বিষয়ে পোস্ট করেন।
শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “শনিবার বাংলা একাডেমিতে একুশে বইমেলার প্রথম দিনে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার মেট্রো স্টেশনের একটি পিলারে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা সেই গ্রাফিতিতে জুতার মালাও পরিয়েছে।সেই ছবিটিই প্রিন্ট করে ডাস্টবিনে লাগানো হয়।
আরও বিস্তারিত জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে, তা বন্ধ পাওয়া যায়।
