January 1, 2025
গণহত্যার টপ কমান্ডারদের বিচার এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

গণহত্যার টপ কমান্ডারদের বিচার এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

গণহত্যার টপ কমান্ডারদের বিচার এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

গণহত্যার টপ কমান্ডারদের বিচার এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর

আওয়ামী লীগ সরকারের টপ কমান্ডারদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) অধীনে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আগামী এক বছরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে প্রধান আসামিদের বিচার শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শনিবার তাজুল ইসলাম বলেন, যদিও ট্রাইব্যুনালে প্রত্যেক ব্যক্তির বিচার করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, এই ট্রাইব্যুনালে ১০ জন প্রসিকিউটর ও ১৭ জন তদন্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। তবে তাদের মূল লক্ষ্য অপরাধের মাস্টারমাইন্ডদের বিচার করা, যারা সর্বোচ্চ পদে থেকে অপরাধ করেছে এবং অপরাধ করেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত শীর্ষ কমান্ডার বা শীর্ষ অপরাধীদের বিচার করা হয়। আগামী এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাইয়ের গণহত্যা মামলার প্রায় সব প্রধান আসামির বিচার শেষ হবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ নিয়ে দুই দিনব্যাপী সংলাপের দ্বিতীয় দিনে ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা : বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী এই সংলাপের আয়োজন করেছে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ নামে একটি সংগঠন।

এই অধিবেশনের মডারেটর মনির হায়দার প্রধান প্রসিকিউটরকে প্রশ্ন করেন,‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে সক্ষমতা আছে, তা গণহত্যা, গুম-খুনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের এত বড় পরিধির বিচারের জন্য কি যথেষ্ট?’

তার  জবাবে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “এই ট্রাইব্যুনালের ১০ জন প্রসিকিউটর ও ১৭ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গুম, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে, সেই অপরাধের যারা মাস্টারমাইন্ড (মূলহোতা), যারা একদম সর্বোচ্চ জায়গায় বসে থেকে অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিলেন প্রাধান্য দিয়ে, তাদের বিচার করা। সে ক্ষেত্রে এই ট্রাইব্যুনাল হাজার হাজার মানুষের বিচার করতে পারবে না এবং সেই লক্ষ্যে অগ্রসরও হচ্ছেন না।“

তিনি বলেন, “সারা দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। এর সঙ্গে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ছিল। দেশব্যাপী সবকিছুর বিচার করতে গেলে এই ট্রাইব্যুনালের পক্ষে তা সম্ভব নয় বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।“

তাজুল ইসলাম বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত টপ কমান্ডারদের বিচার করা হয়। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার প্রধান নিউক্লিয়াস ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার নিচের দিকে কয়েকজন ছিলেন, তাদের বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।“

তাজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমরা সবার বিচার করতে পারব না, কিন্তু টপ স্কোরারদের বিচার ইনশা আল্লাহ বাংলাদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনটেইন করে নিখুঁত এবং নিরপেক্ষভাবে ট্রান্সপারেন্ট ভাবে, আপনাদের বুঝিয়ে দিব যে কতটা স্বচ্ছভাবে বিচার করা যায় এবং যারা সম্পৃক্ত ছিলেন তাঁদের অপরাধটা কী।’

আরো পড়তে

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X