December 18, 2024
গুমের ঘটনায় হাসিনা সরাসরি সম্পৃক্ত: গুম কমিশন

গুমের ঘটনায় হাসিনা সরাসরি সম্পৃক্ত: গুম কমিশন

গুমের ঘটনায় হাসিনা সরাসরি সম্পৃক্ত: গুম কমিশন

গুমের ঘটনায় হাসিনা সরাসরি সম্পৃক্ত: গুম কমিশন

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন (দ্য কমিশন অব এনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিসাপিয়ারেন্স) অর্থাৎ গুম কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে গুম কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন জমা দেন। ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’  (সত্যের উন্মোচন) শীর্ষক প্রতিবেদনে কমিশন সদস্যরা বলেছেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত এক হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। একই সঙ্গে গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার প্রমাণ পায় কমিশন।

এ ছাড়া হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে; সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর পাশাপাশি র‌্যাব বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা এমনভাবে কাজ করেছেন যে, তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন বাহিনী নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার অনেকেই এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাদের এত ভয়ানক নির্যাতন করা হয়েছিল যে, তারা এখনও ট্রমায় ভুগছে।

প্রধান উপদেষ্টা তার শেষ বক্তৃতায় গুমের শিকারদের আশ্বস্ত করার পর রিপোর্টের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, কমিশনের সদস্যরা অধ্যাপক ইউনূসকে আয়না ঘর পরিদর্শনের অনুরোধ করেন।

তারা বলেন, ‘আয়না ঘর পরিদর্শন করলে ভুক্তভোগীরা নিরাপদ বোধ করতে পারবে।’ প্রধান উপদেষ্টা তাদের অনুরোধে রাজি হন এবং বলেন যে, তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল পরিদর্শন করবেন, যা আয়না ঘর নামে পরিচিত।

সে সময় তিনি কমিশন সদস্যদের তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং কাজ এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

কমিশন প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, তিন মাস পর মার্চে আরেকটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা। তিনি বলেন, কাজ শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে অন্তত আরও এক বছর সময় লাগবে।

এ সময় কমিশনের সদস্য ফরিদ আহমেদ শিবলী, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X