২৪৫ জনকে সহায়তা দিল জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন হল ছাত্র বিদ্রোহের সময় জুলাইয়ের গণহত্যার শহীদদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন। সমাজসেবা অধিদপ্তর ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এ সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদকে অনুমোদন দেয়। সংস্থার লক্ষ্য হল জুলাইয়ের গণহত্যায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে অবিলম্বে স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্রদান করা।
ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাইয়ের গণহত্যার শহীদদের স্মৃতি রক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সালে, মুহাম্মদ ইউনুসকে সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয় এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্দ্ধ এর যমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে ফাউন্ডেশন টির সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য। পরে গত ২১ অক্টোবর ফাউন্ডেশনের দ্বিতীয় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সরজিস আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আর এতদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গণআন্দোলনে আহত ২৪৫ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। এ জন্য সংস্থাটি বরাদ্দ দিয়েছে মোট ২ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৫ টাকা। প্রথম ধাপে আগামী চারদিনের মধ্যে ২০০ শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ফেসবুকে এক পোস্টে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এ তথ্য জানান।
পোস্টে তিনি লিখেছেন,, ‘গতকাল পর্যন্ত জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিকেল, সিএমএইচ, বিএসএমএমইউ, এনআইটিওআর, চক্ষু ইনস্টিটিউট, ট্রমা সেন্টার ও সিআরপি-সাভারসহ বিভিন্ন হসপিটালে ভর্তি থাকা ২৪৫ জন আহত যোদ্ধাকে ২ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৫ টাকা আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছ। আগামী ৪ দিনের মধ্যে প্রথম ধাপে ২০০ শহিদ পরিবারকে আমরা আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহযোগিতা পৌঁছে দেব, ইনশাআল্লাহ ‘
সারজিস আরো লেখেন, ‘এখন স্বচ্ছ ভ্যারিফিকেশনের জন্য কিছুটা সময় বেশি লাগলেও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্যারিফিকেশন শেষ করে সব আহত যোদ্ধাদের কাছে আমাদের আর্থিক সহযোগিতা পর্যায়ক্রমে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
তিনি লেখেন, ‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা প্রবেশ করে- সেই তালিকাকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল, বিতর্কের মুখে ফেলেছিল সেই অভিজ্ঞতা আমরা আমাদের ২৪-এর অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের সঙ্গে হতে দিতে চাই না। তাই ভ্যারিফিকেশনে আমরা সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছি।’