November 21, 2024
হাসিনাকে দেশে এনে বিচারসহ ২০ দফা দাবি করেছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট

হাসিনাকে দেশে এনে বিচারসহ ২০ দফা দাবি করেছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট

হাসিনাকে দেশে এনে বিচারসহ ২০ দফা দাবি করেছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট

হাসিনাকে দেশে এনে বিচারসহ ২০ দফা দাবি করেছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট

ছাত্র বিপ্লবের সময় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক স্বৈরশাসক হাসিনাকে দেশে এনে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় বিচারের দাবি জানিয়েছে সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্ট। শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের মহাসচিব তুষার রহমান। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২০ দফা দাবি পেশ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের অপসারণ, দলীয় বিবেচনার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারকদের অপসারণ এবং অতীতের সব সিইসি ও সহযোগী অপরাধীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শাস্তি দেওয়া।

গণঅভ্যুত্থানের সময় দেড় শতাধিক ছাত্র হত্যা এবং নেতাকর্মীদের গুমের ঘটনায় বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী স্বৈরশাসক হাসিনা ও তার সহযোগী ও বন্ধুদের ভারত থেকে নিয়ে এসেছে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও বিদেশে অর্থপাচারের মতো অপরাধ করেছে। আদালতে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

সংগঠনের নেতারা বলেন, সংবিধান থেকে জনকল্যাণবিরোধী সব ধারা ও উপধারা বিলুপ্ত করে গণমুখী সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এমন আইনসহ একই মেয়াদে একই ব্যক্তি সরকার প্রধান এবং দলের প্রধান হতে পারবেন না। দেশের কোনো আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী ভোটারদের আস্থাভাজন না হলে সংবিধানে ‘নো ভোট’-এর বিধান রাখতে হবে।

সংগঠনটি সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ বাদ দিয়ে ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’  করার দাবিও জানিয়েছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা বাতিল, সরকারি কর্মচারীদের অপসারণ ও বেতনের টাকা ফেরত দিয়ে শাস্তি দিতে হবে। সব সরকারি কর্মচারীর পেনশন ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। কারণ বেসরকারি কর্মচারীদের পেনশন নেই। এ ছাড়া বেকার জনগোষ্ঠী সারা জীবন আয় ও কর্মসংস্থানহীন থাকে।

সিটিজেনস রাইটস মুভমেন্টের সভাপতি মেজর (অব.) মোঃ মফিজুল হক সরকার বলেন, ফ্যাসিবাদের সময় যে নৈরাজ্য ছিল তা যেন আর শুরু না হয়। আমরা আবার চাঁদাবাজি শুরু দেখতে পাচ্ছি। একটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য আহ্বান জানানো হবে, রাজ্য সংস্কারের জন্য সময় নিন, তারপর নির্বাচন করুন। যেন যেই লাউ, সেই কদু না হয়।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X