হাসিনার পদত্যাগ, মীমাংসিত বিষয়ে বিতর্ক তৈরি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির: জনরোষে মত বদল চুপ্পুর
এ কথাটি দিবালকের মত স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোন রাষ্ট্রপতি যিনি তার পূর্বসরী সকল রাষ্ট্রপতির থেকে যোগ্যতায় অনেক কম। তাই তিনি মাঝেমধ্যে এরকম উলটপালট বলবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ কথা বলার পর জনরোষে পড়ার আগেই তিনি তার মদ পাল্টিয়েছেন চুপ্পু। সেই বিষয়টি আবার তুলে ধরা হলো
তবে একথা সত্য যে, পৃথিবীর ইতিহাসে যারা গণঅভ্যুত্থানে পালিয়েছে বা ক্ষমতা ছেড়েছে তাদের পদত্যাগের কোন প্রয়োজন হয়নি। তারা এমনিতেইতো পতিত। যে ঘটনাটি স্বৈরাচারিনী হাসিনার ক্ষেত্রেও ঘটেছে। সুতরাং এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করার কোনো সুযোগ নেই, এটি এখন স্বাধীন বাংলাদেশে ১০০% অপ্রাসঙ্গিক বিষয়।
আপিল বিভাগের আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতার বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে আবারও আলোচনায় মীমাংসা ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপপু।
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অস্থিতিশীল বা বিব্রত’ করার জন্য কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্যও তিনি সবাইকে আহ্বান জানান। সোমবার বঙ্গভবনের প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেন, আপিল বিভাগের আদেশে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিকতা নিরসন হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। আড়াই মাস পর, ১৯ অক্টোবর মানব ভূমি সচিব মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চট করে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের ‘কোনো দলিল প্রমাণ’ তাঁর কাছে নেই।
এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা। এদিকে সোমবার সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়ে কথা বলেন।
সাংবদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রপতি বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পান নাই, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার, উনার শপথ লঙ্ঘনের সামিল।”
এদিন রাতে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য তুলে ধরে প্রেস উইং থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, “সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।
“এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার উপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ০৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।”
বঙ্গভবন বলেছে, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ৮ অগাস্ট মতামত চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ মতামত দিয়েছিল।
“মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃস্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন” বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরো জানতে