November 24, 2024
এইচ এস সি সমমানের ফলাফল: জিপিএ-৫ বৃদ্ধিতে এগিয়ে মেয়েরা

এইচ এস সি সমমানের ফলাফল: জিপিএ-৫ বৃদ্ধিতে এগিয়ে মেয়েরা

এইচ এস সি সমমানের ফলাফল জিপিএ-৫ বৃদ্ধিতে এগিয়ে মেয়েরা

এইচ এস সি সমমানের ফলাফল: জিপিএ-৫ বৃদ্ধিতে এগিয়ে মেয়েরা

এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হার ছিল ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪ শতাংশ। সে অনুযায়ী পাসের হার কমেছে ৮৬ শতাংশ। এবারও ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে মেয়েরা। পাসের হার ও জিপিএ-৫ উভয় ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে।

এবার ফল ঘোষণায় বড় ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ফলাফলের সারসংক্ষেপ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

এবার পরীক্ষার্থীদের একাংশের চাপে এইচএসসিতে কিছু বিষয়ের পরীক্ষা মাঝপথে বাতিল করা হয়েছে। এ অবস্থায় ইতোমধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি, সেসব বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।

এ প্রক্রিয়ায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার গতবারের তুলনায় কমেছে। তবে ফলাফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের মিলিত গড় ফলাফলেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ পাসের হার কমেছে। কিন্তু জিপিএ-৫ বেড়েছে। গতকাল ভিন্ন পদ্ধতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। অন্য সময়ে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ প্রক্রিয়া উদ্বোধন করতেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়। কিন্তু এবার বেলা ১১টায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনলাইনে একযোগে প্রকাশ করা হয়েছে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডা. মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার ১ লাখ ১২ হাজার ৩১২ জন পরীক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৭৯ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর মধ্যে ছাত্রী ৪৪ হাজার ৬৫ জন এবং ছাত্রী ৬৪ হাজার ২৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবারের ফলাফল কিছুটা খারাপ। গতবার পাসের হার ছিল ৭৫.৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৬৫৫ জন। তবে এবারের ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে।

আরো পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X