সাগর-রুনি হত্যায় বিগত সরকারের প্রভাবশালী অনেকে জড়িত: শিশির মনির
প্রাথমিক তদন্তে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত বলে নাম বেরিয়েছে।তারা শুধু যে সরকারের দায়িত্বে ছিলেন তা না, সরকারের পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরও নাম এসেছে। তদন্তের স্বার্থে নাম বলায় আইনি বাধা থাকায় এখন বলা যাচ্ছে না। তাই তদন্ত শেষে এসব নাম আসতে কোনো অসুবিধা হবে না।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের হোটেল রয়েল ইনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সাগর-রুনি হত্যা মামলার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২০১২ সালে। প্রায় ১২ বছর পর একটি টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে। যেহেতু আমি একজন আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেছি, আমি এর প্রাথমিক নথি দেখার সুযোগ পেয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় তদন্তকালে সবকিছু বলা যাবে না। শুধু এতটুকুই বলা যায়, আমার মনে হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে, সেগুলো তদন্ত করতে পারলে এই হত্যাকাণ্ডের শেষ অংশে যাওয়া সম্ভব।
বেশ কয়েকজন সংবেদনশীল ব্যক্তির নাম সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন এই আইনজীবী। যাদের নাম সামনে এসেছে তারাই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। আমি এখানে সেসব সংবেদনশীল মানুষের নাম উল্লেখ করছি না। তবে আমি মনে করি এখন তদন্ত সঠিক পথেই চলছে। তদন্ত যেখানে থেমেছে সেখানে সরকার এখন আর বাধা দিচ্ছে না। বাধা না দেওয়ার পর থেকে, কয়েকটি জবানবন্দি আসছে, যার মধ্যে অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য সামনে এসেছে। এ জন্য আমি মনে করি অগ্রগতি হবে।
শিশির মনির আরো বলেন, যেসব তথ্য এসেছে তার মধ্যে একটি ডিএনএ রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ। সাগর ও রুনির শরীর থেকে দুজন ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করা গেছে। এই দুজন ব্যক্তি কে তা খোঁজা হচ্ছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ দুজনের তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। এগুলো সামনে থাকলে সবকিছু নেওয়া সহজ হবে। আপাতত কোনো বাধা নেই, উদ্দেশ্যের কোনো সংকট নেই। এ ব্যাপারে সরকারের আগ্রহের কমতি নেই। বাকিটা ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ হলেই জানা যাবে।
তিনি বলেন, বেশ কিছু প্রতিবেদন রয়েছে যা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামীকাল একটি মিটিং আছে যেখানে হয়তো আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বড় কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বা গণমাধ্যমকর্মীর নাম জানতে চাইলে শিশির মনির বলেন, সংগঠনগুলো এখন আর অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়, সাধারণত ব্যক্তিরাই অপরাধে জড়িত থাকে। তবে গণমাধ্যম, গণমাধ্যমের বাইরে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের নাম এসেছে, এটা ক্রসচেক করতে হবে। ক্রসচেক করে যদি পাওয়া যায় তবেই আপনাদের সামনে তাদের নাম প্রকাশ করতে পারব।
