এক মাসে ১৬৬৭টি পর্ন-৫৬০টি জুয়ার সাইট বন্ধ: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
গত এক মাসে ১ হাজার ৬৬৭টি পর্ন ওয়েবসাইট এবং ৫৬০টি জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত এক মাসে দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, চিঠি, পার্সেল, নথির গ্রাহকসেবা সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য অনলাইন বুকিং অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়। এই অ্যাপসের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাহক ঘরে বা অফিসে বসে যেকোনো সময় পার্সেল বা ডকুমেন্ট বুক করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় তদন্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি প্রথমে এসে তদন্ত প্রতিবেদন পান। বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। একইভাবে ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই বিভাগের সকল উন্নয়ন প্রকল্পের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা চলছে।
উপদেষ্টা বলেন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশে ১ হাজার ৬৬৭টি পর্ন ওয়েবসাইট ও ৫৬০টি জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। এই ধরনের সাইটগুলিতে অ্যাক্সেস ম্যালওয়্যার ছড়াতে থাকে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেলিটকের নেটওয়ার্ক কভারেজ এবং সেবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। 4G নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর খুব শীঘ্রই IFT জারি করা হবে।
আইসিটি বিভাগের বিষয়ে তিনি বলেন, হাই-টেক পার্কের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মুশফিকুর রহমান জানান, টেলিফোন অপারেটরদের কাছে বেশ কিছু বকেয়া রয়েছে। আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত। আমরা যেকোনো মূল্যে বকেয়া আদায় করতে চাই। আমরা একটি ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্তত কিছু পরিমাণ সংগ্রহের ব্যবস্থা করব।
কল-ড্রপ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, কল-ড্রপ একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। আমরা মোবাইল অপারেটরদের সাথে আলোচনা করছি। আমাদের এমন ব্যবস্থা আছে যা সীমিত পর্যায়ে নিয়ে আসা যায় এবং মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত রাখা যায়।
এফডিআরের টাকা আত্মসাৎ ও লাইসেন্স বাণিজ্যের অভিযোগে বিটিআরসি কমিশনার মুশফিক মান্নানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যানসহ তিনজন পদত্যাগ করেছেন। নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা আরও নতুন কমিশনার নিয়োগ করব। মূলত তারা দায়িত্ব নেবে এবং সমস্যার সমাধান করবে।