চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করলেও দেশের বিভিন্ন সময়ে তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিলেন না। সফল ছাত্র অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা তার ওপর আস্থা রেখেছেন। গোটা দেশ এই মুহূর্তে তার ওপর আস্থা রেখেছে। ফলে দেশে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে ড. ইউনুস।
কিন্তু এই অস্থিতিশীল সময়ে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করতে তাকে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে।
ডাঃ ইউনূস এখন বুঝতে পেরেছেন যে তিনি একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। যখন
- আয়না ঘরের হাজারো মানুষের কান্না আর ক্ষতির রূঢ় বাস্তবতা
- একদিকে বন্যায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ।
- ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা,
- সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের ষড়যন্ত্র,
- একের পর এক অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র,
- হাসপাতালে আহত মানুষের আর্তনাদ,
- মানুষ এখনো মরছে, আজ একজন মারা গেছে।
- রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি।
এরই মধ্যে একটি অকৃতজ্ঞ, মূর্খ ও উদাসীন জাতি নেমে পড়েছে দাবিতে। তাদের একটা বড় অংশ শিক্ষক সমাজ, ছিঃ ছিঃ! দেয়ালে পিঠ ঠেকে আছে তাদের। দাবি মানা না হলে তারা ধর্মঘটে যাবেন।
বলি এতদিন আপনাদের কর্মবিরতি নেয়ার হেডম কই ছিলো? সদ্যো জন্মগ্রহণ করা নবজাতকের কাছে এত প্রত্যাশা কেমনে করেন? তাঁকে দিয়ে হালচাষ করানোর চিন্তা মাথায় আসে কেমনে?
১৬ বছরে শেষ করে দেয়া একটা দেশকে ১৬ দিনেই মেরামত করা যায়? একটু সময় দেয়া যায় না?
আপনাদের অন্ততপক্ষে হাসপাতালে ভুক্তভোগী যোদ্ধাদের দেখতে যাওয়া উচিত ছিল, তাই না? নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানাতে সারাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সরকারের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন । আপনারা সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অন্তত একটি সম্মেলনের আয়োজনও করেনি।
লজ্জা করে না? এত আত্মসম্মান না থাকলে? শিক্ষকতা পেশা কি শুধু আপনাকে দুই পয়সা কামাই করার বুদ্ধি দিয়েছে? জাতির সংকটের সময়ে জাতির বিবেক ব্যক্তিত্বকে জাতির নেতৃত্ব নিতে শেখায়নি..!!
আমরা আপনার সাথে আছি। দৃঢ় হস্তে দমন করুন এই গুটিকয়েক উচ্ছৃঙ্খল, স্বার্থান্বেষী, দুর্বৃত্তদের। আমরা কিছু মনে করব না। তাদের সংখ্যা কম। আর তাদের পেছনে বিনিয়োগ করছে বিগত সরকারের লুটেরারা।
আপনাদের মতো আমরাও চাই দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। যা আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের উপহার হয়ে থাকবে।