December 3, 2024
সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য হাসিনাকে জবাবদিহি করতে চায় জাতিসংঘ

সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য হাসিনাকে জবাবদিহি করতে চায় জাতিসংঘ

সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য হাসিনাকে জবাবদিহি করতে চায় জাতিসংঘ

সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য হাসিনাকে জবাবদিহি করতে চায় জাতিসংঘ

শিক্ষার্থীদের ২৩ দিনের দেশ কাঁপানো আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শিক্ষার্থীদের বিদ্রোহের মুখে গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন  এরপর গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানা। বর্তমানে তিনি ভারতে রয়েছেন।

জাতিসংঘ সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের ২৩ দিনের হত্যা ও সহিংসতার জন্য জবাবদিহিতার মুখোমুখি দেখতে চায়। মঙ্গলবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় সাম্প্রতিক গণ সহিংসতা, প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চায় জাতিসংঘ। একই সঙ্গে সহিংসতা, প্রাণহানি এবং মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) স্থানীয় সময় জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ক বিবৃতিতে এবং সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক প্রথমে বাংলাদেশ ইস্যুতে একটি বিবৃতি পড়েন। এরপর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি মহাসচিব (ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে) পাঠানো একটি চিঠি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন পেয়েছি। আমি আপনাকে বলতে পারি যে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস নতুন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে, মহাসচিব বাংলাদেশে শান্তি পুনরুদ্ধার এবং সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, চিঠিতে মহাসচিব আরও বলেছেন- তিনি আশা করেন, সংখ্যালঘু ও উপজাতি সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার পাশাপাশি ড. ইউনূসের সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থা অবলম্বন করবে। তিনি সকল নাগরিক এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর ভরসা করছেন। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিশেষ করে মিয়ানমারের অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মহাসচিব ইউনূসকে জোরালোভাবে আহ্বান জানান।

পরে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন এই সংকটময় সময়ে স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন বাংলাদেশকে সমর্থন করে মহাসচিব যে চিঠি দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ‘স্বৈরাচারী’ হাসিনার  নির্দেশে গুলি ছুড়লে ৮১৯ জন মারা যায় এবং অন্তত ২৫ হাজার আহত হয়। তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। জাতিসংঘ মহাসচিব এসব হত্যা ও হতাহতের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন?

জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘হ্যাঁ। এই বিশেষ সংকটের শুরু থেকেই আমরা জবাবদিহির কথা বলে আসছি। যারা সহিংসতা, জীবনহানি এবং মানবিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’

Read more…

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X