আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা মামলা শীঘ্রই প্রত্যাহার হচ্ছে
সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল শনিবার আইন মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। গত বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণের পর গতকাল প্রথমবারের মতো মন্ত্রণালয়ে আসেন তিনি।
বৈঠকে গৃহীত বাকি চারটি সিদ্ধান্ত হলো- গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে যেসব ফৌজদারি মামলা হয়েছে, সেগুলো আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল তার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা। মিথ্যা অভিযোগে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক শিশু-কিশোরদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে।
জালিয়াতি ও হয়রানির ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদানের জন্য আইন ও বিচার বিভাগের ১৬৪৩০ (ন্যাশনাল হেল্পলাইন) ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন সাইবার নিরাপত্তা আইনকে ভালবাসার কোন কারণ নেই। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল নিজেই সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলার আসামি উল্লেখ করে বলেন, এই আইনকে ভালোবাসার কোনো কারণ নেই। খারাপ আইন সংস্কার বা বাতিলের জন্য ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবে।
আসিফ নজরুল বলেন, জনগণের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা ও নতুন নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে এই সরকার যতদিন থাকবে ততদিন থাকবে। বেশি নয়, কমও নয়। তবে এই সরকার যতদিন প্রয়োজন ততদিন থাকবে ।
তিনি বলেন, মেয়াদ নিয়ে এখনো কোনো কথা হয়নি। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাথায় থাকবে দুটি বিষয়। একটি হলো রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা অনুযায়ী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আবারও এদেশের জনগণের সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই সরকার থেকে কিছু জরুরি সংস্কার দরকার এমন প্রত্যাশা থেকে সংস্কার করবে ।
নিম্ন আদালতের সুরক্ষার আহ্বান
শনিবার বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার কাছে অনুরোধ করব, জেলা আদালতে কোনোভাবে ধ্বংসযজ্ঞ বা নাশকতামূলক কাজ করবেন না। সেখানে ঘেরাওয়ের কোনো প্রয়োজন নেই।’ তিনি নিম্ন আদালতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।