November 22, 2024
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগুনের ভয়াবহতা বন্ধ করবে:চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগুনের ভয়াবহতা বন্ধ করবে:চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগুনের ভয়াবহতা বন্ধ করবে:চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আগুনের ভয়াবহতা বন্ধ করবে:চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা

কোথাও আগুন লাগলে বিশেষ ধরনের ডিটেক্টর ধোঁয়া ও তাপের মাধ্যমে তার অবস্থান ও টাইপ শনাক্ত করবে। এটি তারপর সিস্টেমে সংকেত পাঠাবে। আর সেখান থেকেই আগুনের খবর পৌঁছে যাবে দমকল বাহিনীসহ বিভিন্ন স্থানে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) আগুন দুর্ঘটনার ভয়াবহতা রোধ করবে। নতুন উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যে দেশে কাজ শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজধানীর কল্যাণপুর বস্তিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছিল।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান এমন তথ্য জানিয়েছেন।

এআই প্রযুক্তি সম্পর্কে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘কোথাও আগুন লাগলে একটি বিশেষ ধরনের ডিটেক্টর ধোঁয়া ও তাপের মাধ্যমে তার অবস্থান ও ধরন শনাক্ত করবে। এটি তারপর সিস্টেমে সংকেত পাঠাবে। আর সেখান থেকেই আগুনের খবর পৌঁছে যাবে দমকল বাহিনীসহ বিভিন্ন স্থানে। এটি আগুনকে বিপজ্জনক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা করবে। প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে মালামাল রক্ষা পাবে।

অধ্যাপক ড. খলিলুর রহমান বলেন, “কোথায় হোটেল, আবাসিক ভবন, মার্কেট আছে সবকিছুই একটি মানচিত্রে চিহ্নিত করা হবে। রাস্তা কেমন, আগুন লাগলে, কোন দিকে দ্রুত এগোতে হবে- এগুলো মানচিত্রের সংকেত দেবে। তবে বিষয়টি গবেষণাধীন রয়েছে।

তবে এ ধরনের প্রযুক্তি বাস্তবায়নে বড় সার্ভারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ বিদ্যুৎ ছাড়া ফায়ার ডিটেক্টর, সিগন্যালিং প্রক্রিয়া, সিসিটিভি, ইন্টারনেট কিছুই চলবে না।

AI আগুনের ভয়াবহতা বন্ধ করবে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে

তবে অগ্নিনির্বাপণের এই প্রযুক্তি সারা দেশে বিশেষ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাস্তবায়নের জন্য দেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।

দুর্যোগে সহনশীলতা বাড়াতে এবং কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস নিয়ে বেসরকারি খাতের সঙ্গে

‘Technology in DRM Towards Smart Bangladesh: Opportunities and Challenges of AIBS Solution in Hazard Anticipation’ শীর্ষক একটি ওয়ার্কশপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ড. খলিলুর রহমান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার বর্ণনা করতে কর্মশালায় উপস্থিত দর্শক ও সাংবাদিকদের সামনে একটি এআই-ভিত্তিক মডেল প্রদর্শন করা হয়। মডেলটি দেখায় কিভাবে AI ব্যবহার করে আগুন নিভিয়ে ফেলা যায়।

বঙ্গবাজার মার্কেট ও কৃষি মার্কেটে এ প্রযুক্তি থাকলে অগ্নিকাণ্ডের শুরুতেই আগুনের খবর পাওয়া যেত। ফলে দ্রুত আগুন নেভানোর পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতিও কমানো সম্ভব বলে জানান কর্মশালায় উপস্থিত বক্তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব ড. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘এআই সিস্টেমে ডিটেক্টর সিস্টেম অবশ্যই উপযোগী এবং প্রযুক্তিবান্ধব। ঢাকার প্রতিটি বিল্ডিংয়ে পানির ট্যাংক আছে। যদি একটি ফায়ার হাইড্রেন্ট এর সাথে সংযুক্ত করে রাস্তায় স্থাপন করা যায় তবে এটি অনেক বেশি কার্যকর হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে আগুন শনাক্ত করার উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ জন্য সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই। তবে আমরা সকল ভাল ধারণা স্বাগত জানাই.

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএসএসএবি) যুগ্ম মহাসচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাইওয়ানে এআই ডিটেক্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। কৃষি মার্কেতে আগুন   লাগলেও আগে থেকে তা শনাক্ত করা যায়নি। কারণ সেখানে কোনো ডিটেক্টর ছিল না। কয়েকদিন পর সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন লাগে। কিন্তু সেখানে খুব দ্রুত আগুন শনাক্ত করে নেভানো সম্ভব হয়েছিল। কারণ সেখানে ডিটেক্টর সিস্টেম থাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ সুপার প্রজেক্ট কনসোর্টিয়ামের ব্যবস্থাপক এ এম নাছির উদ্দিন বলেন, “ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে রাস্তা নেই। ঢাকার জলাশয় কমছে, মাঠ কমছে। চারটি জলাশয় ভরাট করে ভবন তৈরি করা হয়েছে। পানির উৎস কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, “এআই প্রযুক্তির বড় সুবিধা হল আগুন বা ধোঁয়াকে দ্রুত শনাক্ত করে রিপোর্ট করা।” কিন্তু বঙ্গবাজারের আগুন ২-৩ ঘণ্টা জ্বলার পর এবং  একইভাবে কৃষি  মার্কেটে আগুন লাগার অনেক পরে খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার শুরুতেই ধরা পড়লে এত বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো না। এই ক্ষেত্রে, AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) খুব কার্যকর হবে।

এ আই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্যাণকর দিকটি কাজে লাগিয়ে সারা বিশ্বে এগিয়ে যাচ্ছে আর এই শুভ কাজে বাংলাদেশের কতিপয় প্রযুক্তিবিদও  সেই পথে চেষ্টা চালাচ্ছেন । যা  বাংলাদেশের জন্য কল্যাণই  বয়ে আনবে আশা করা যায় ।

আরও জানুন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ১০ সেকেন্ড কণ্ঠ শুনেই বলবে ডায়বেটিস আছে কিনা

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X