November 24, 2024
দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ২ লাখ কেজির বেশি বাংলাদেশি ইলিশ: ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে মানুষ ইলিশ কিনতে পারছে না ভয়ঙ্কর উঁচু দামে

দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ২ লাখ কেজির বেশি বাংলাদেশি ইলিশ: ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে মানুষ ইলিশ কিনতে পারছে না ভয়ঙ্কর উঁচু দামে

দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ২ লাখ কেজির বেশি বাংলাদেশি ইলিশ: ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে মানুষ ইলিশ কিনতে পারছে না ভয়ঙ্কর উঁচু দামে

দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ২ লাখ কেজির বেশি বাংলাদেশি ইলিশ: ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে মানুষ ইলিশ কিনতে পারছে না ভয়ঙ্কর উঁচু দামে

বাংলাদেশে অনেকদিন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইলিশ মাছ ধরার পর বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছিল অনেক মাছ পাওয়ার কারণে দাম পড়লে ঐতিহ্যবাহী ইলিশ মাছ পাতে নেবে ।  কিন্তু ইলিশ মাছ রপ্তানির কারণে বিশেষ করে ভারতে চলে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা এই সুস্বাদু মাছটিকে এত  বেশি তৈলাক্ত করে ফেলেছে যে , দামের ভয়ংকর রাগান্বিত চোখ দেখে মানুষ বাজার থেকে ফিরে আসছে ।  প্লিজ  রূপালি , তুমি চলে যাও ভারতে ।  সীমান্ত খুলে দিলে সেখান থেকে দখিনা সমীরণে কিছুটা হলেও তোমার সু ঘ্রাণ  আমাদের অন্তঃর-আত্মাকে আন্দোলিত করবে ।  আল্লাহ হাফেজ  ইলিশ।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৫ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, যেসব প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে কি না, সে বিষয়েও সরকার কড়া নজর রাখবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১১৫টি কোম্পানিকে ভারতে মোট ৪ হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও অনেকেই তা করেনি। তবে এর আগের বছর ২০২০ সালে সরকারি অনুমতির আলোকে প্রথমে ১ হাজার ৪৫০ টন এবং পরে আরও ৪০০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছিল।

চলতি বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেতে ইতোমধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য ৫০টি কোম্পানিকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাধারণত ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ সাল থেকে আবারও দেশে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারত পাঁচ হাজার টন ইলিশ মাছ চায়। তবে সরকারের পরিকল্পনা গত বছরের চেয়ে বেশি রপ্তানি করার।

রপ্তানিকারকরা ২০২২ সালে ১৩০০ টন শিপিং করতে সক্ষম হয়েছিল, যেখানে তাদের আগের বছর ২৯০০ টন পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া যেসব কোম্পানিকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে, তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে কি না, তাদের ওপর সরকার কড়া নজর রাখবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, আসন্ন দুর্গাপূজা-২০২৩ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানি করতে চায় কলকাতা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গত বছর পূজা উপলক্ষে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিলেও মাত্র ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এ বছর তারা বাংলাদেশ থেকে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করতে চায়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার ইলিশ শুধু একটি সুস্বাদু রপ্তানিযোগ্য মাছ নয়- কলকাতার মানুষ একে ঢাকার পাঠানো একটি অত্যন্ত মূল্যবান ও আরাধ্য উপহার বলে মনে করে। একই সঙ্গে উচ্চমানের বড় সাইজের ইলিশ চায় কলকাতা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে প্রায় শতাধিক কোম্পানি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখা সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবারও প্রতিবেশী দেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। তবে অনুমোদনের পরিমাণ চূড়ান্ত হয়নি। অনেকেই আবেদন করেছেন, সেখান থেকে ভেরিফিকেশন করা হবে। প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এদের মধ্যে মৌসুমী ব্যবসায়ীই বেশি। সেখান থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৈঠকে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

জানা গেছে, গতবার অনুমোদন পাওয়া অনেক প্রতিষ্ঠানই নির্ধারিত পরিমাণ মাছ রপ্তানি করতে পারেনি। অনেকেই রপ্তানি করতে পারেননি। মাছের রপ্তানি নির্ভর করে মাছ ধরার পরিমাণের ওপর। তাই এবার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার ভিত্তিতে অনুমতি দেওয়া হবে।

২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার মৌসুমে ঢাকা থেকে কলকাতায় ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।

 

বাংলাদেশে অনেকদিন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইলিশ মাছ ধরার পর বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছিল অনেক মাছ পাওয়ার কারণে দাম পড়লে ঐতিহ্যবাহী ইলিশ মাছ পাতে নেবে ।  কিন্তু ইলিশ মাছ রপ্তানির কারণে বিশেষ করে ভারতে চলে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা এই সুস্বাদু মাছটিকে এত  বেশি তৈলাক্ত করে ফেলেছে যে , দামের ভয়ংকর রাগান্বিত চোখ দেখে মানুষ বাজার থেকে ফিরে আসছে ।  প্লিজ  রূপালি , তুমি চলে যাও ভারতে ।  সীমান্ত খুলে দিলে সেখান থেকে দখিনা সমীরণে কিছুটা হলেও তোমার সু ঘ্রাণ  আমাদের অন্তঃর-আত্মাকে আন্দোলিত করবে ।  আল্লাহ হাফেজ  ইলিশ।

ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে আইনি নোটিশও দেয়া হয়েছিলো গত বৎসর।

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল (১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান এই নোটিশটি পাঠান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকেবিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের জাতীয় মাছ ইলিশ হলেও ইলিশ মাছের দাম বেশি হওয়ায় গরিব মানুষ এই মাছ কেনার কথাও ভাবেন না। দেশের মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ইলিশ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের দাম প্রতি কেজি গড়ে এক হাজার টাকা থেকে ১২০০ টাকা।

এছাড়া সবচেয়ে সুস্বাদু ইলিশ হচ্ছে পদ্মা নদীর ইলিশ। বাজারে পদ্মার ইলিশের গড় দাম কেজি প্রতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর চেয়েও  বেশি। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক। ভারতে রপ্তানির কারণে দেশের স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম বেড়েছে। আরও দুঃখের বিষয় হলো, অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়ে কম দামে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।

সেই নোটিশে আরও বলা হয়, ভারতে যে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে তা মূলত পদ্মার ইলিশ। ইতিমধ্যে পদ্মা নদী থেকে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে এই পদ্মার ইলিশ রপ্তানির ফলে বাংলাদেশের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী, ইলিশ অবাধে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়। জনস্বার্থ উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন

স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য থেকে মাছ-মাংস বাদ দিতে হচ্ছে

সরকার চাইলে বিদেশিরাও ইলিশের স্বাদ উপভোগ করতে পারে, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ‘ইলিশ উৎসব’ আয়োজন করতে পারে। যেখানে বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এমনকি আসন্ন দুর্গাপূজার সময় ইলিশের স্বাদ উপভোগ করতে ভারতীয়দের বাংলাদেশে ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।

যদিও সে উকিল নোটিশ এবং পরবর্তীতে রিটকে ভালোভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।  এবং সেটার কোনই কাজ দেয় নাই।  ভারতকে ভালোবেসে পাঠানো হচ্ছে ইলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X