November 21, 2024
ওমানে আটক বাংলাদেশি নারী এমপি: মুচলেকা দেয়ার পর মুক্তি

ওমানে আটক বাংলাদেশি নারী এমপি: মুচলেকা দেয়ার পর মুক্তি

ওমানে আটক বাংলাদেশি নারী এমপি: মুচলেকা দেয়ার পর মুক্তি

ওমানে আটক বাংলাদেশি নারী এমপি: মুচলেকা দেয়ার পর মুক্তি

সংরক্ষিত মহিলা আসনের(চট্টগ্রাম) সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ওমানে রাজনৈতিক সভায় বেশ কয়েকজন ভ্রমণ সঙ্গী ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগদানকালেওমানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। মঙ্গলবার রাতে ওমানের রাজধানী হাফা হাউস মাসকট হোটেলে রাজনৈতিক বৈঠকে বসেন তিনি। তিন তারকা হোটেলে তার থাকার কথা থাকলেও বৈঠকের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে সাংসদকে মুচলেকায় মুক্তি দিলেও অন্যদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকা ও মাস্কাটের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঘটনাটি বিভিন্ন সূত্রে শুনেছেন বলে স্বীকার করলেও তাকে বিস্তারিত জানানো হয়নি বলে দাবি করেন। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, আমি শুনেছি মহিলা এমপি খাদিজাতুল আনোয়ারকে অনুমতি ছাড়া সভা করতে গিয়ে ওমানি পুলিশ বাধা দিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুমতি না থাকায় পুলিশ ঝামেলা সৃষ্টি করেছে।তাদের বাধায় সভা এলোমেলো হয়ে যায়।তবে সাংসদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।

উল্লেখ্য, খাদিজাতুল আনোয়ার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি   প্রয়াত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে।

ওমানে সাংসদ আটকের প্রশ্নে প্রেস ব্রিফিংয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী : এদিকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ওমানে এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে আটকের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের কাছে কোনো তথ্য নেই। বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একাধিক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা কিছুই জানি না। এমন কোনো সংসদ সদস্য সেখানে যাওয়ার কথা আমরা জানি না। কেউ গেলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গিয়েছে । অফিসিয়ালি আমরা কাউকে পাঠাইনি। এই মুহূর্তে এবং আপনার কাছ থেকে এই তথ্য শুনেছি।  মন্ত্রীর জবাব শোনার পর একজন সাংবাদিক বিষয়টি (সম্পূরক প্রশ্নে) স্পষ্ট করার দাবি জানিয়ে বলেন, আপনি জানেন না, নাকি ঘটনা ঘটেনি? জবাবে মন্ত্রী আবারও ‘জানি না’ বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গতকাল বিকেল থেকে সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ওমানে আটক রয়েছেন।

ফেসবুকের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে রয়্যাল ওমান পুলিশের সিআইডি দল সাংসদ, তার সফরসঙ্গী ও প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের যারা হোটেলে বৈঠকের জন্য জড়ো হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর সাংসদকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকিরা এখনও আটক রয়েছে বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, দেশের প্রচলিত নিয়ম উপেক্ষা করে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে রাজনৈতিক বৈঠক করার অভিযোগে এমপি সনি ও তার অনেক সমর্থককে দীর্ঘদিন ধরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওমানি আইন অনুযায়ী, বিদেশী নাগরিকদের পূর্ব ঘোষণা ও অনুমতি ছাড়া দেশে রাজনৈতিক সভা করা নিষিদ্ধ। ইতিমধ্যে ওমানে এমপি সোনির কয়েকজন সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে হাজির করা হতে পারে।

আরও পড়ুন

বিশ্ববাসীর চোখ তিনটি নির্বাচনের দিকে

এভাবে  প্রকাশ্যে আইন  লঙ্ঘনের অভিযোগে একদল বাংলাদেশী  ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ওমান পুলিশ

প্রকাশ্যে অশ্লীলতার অভিযোগে একদল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ওমানি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে এলিয়েন রেসিডেন্স অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ওমানের রয়্যাল পুলিশ জানিয়েছে, মাস্কাট গভর্নরেট পুলিশ কমান্ড নৈতিক স্খলন এবং বিদেশীদের আবাস আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এশিয়ান জাতীয়তার একদল নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বলতে গেলে এটাকে  নিজ দেশে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব বলা চলে । কিন্তু তা বলবো না যেহেতু তাদের মতে কূটনৈতিক চালে শক্তিশালী দাবী করা একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।  তারা কেনইবা কূটনীতে ফেল করে দেশের এমপি হয়ে অন্য দেশে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হবে? এবং মুছলেকা দিবে । ওমানিরাতো আর আওয়ামী লীগ বলে কাউকে চেনে না । বা ঐ ভদ্র মানুষেরা এসব কি বা কে  চেনার কথাও না ।  তারা চেনে বাংলাদেশ নামক একটি খন্ডকে ।  আওয়ামী লীগের এমপির এবং তার সঙ্গী সাথীদের বাংলাদেশীদেইতো কত রকমের সভা সমাবেশ করার সুযোগ রয়েছে ।  তাহলে তিনি কেন বিদেশ গিয়ে রাজনৈতিক মিটিং করতে গেলেন । এবং বাংলাদেশের সুনাম কে ক্ষুন্ন করে আসলেন এটা মোটেও প্রয়োজন ছিল না ।

বাংলাদেশের মতো হ য ব র ল আইন দ্বারা পৃথিবীর কোন দেশ আর চলে না । দেশের নিজস্ব আইন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাহিনী রয়েছে ।  এবং সেখানে গিয়ে অন্য দেশের মতো বেআই নি কোন কাজ করাও  চলে না। ওমান এই সংসদ কে গ্রেফতার করেসেটাই প্রমাণ করেছে  ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X