May 18, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
রাতের অন্ধকারে এমপি হয়েছ আমরাই তো তৈরি করেছি: আওয়ামী লীগ নেতা

রাতের অন্ধকারে এমপি হয়েছ আমরাই তো তৈরি করেছি: আওয়ামী লীগ নেতা

‘রাতের অন্ধকারে এমপি হয়েছ, আমরাই তো তৈরি করেছি’: আওয়ামী লীগ নেতা

রাতের অন্ধকারে এমপি হয়েছ আমরাই তো তৈরি করেছি: আওয়ামী লীগ নেতা

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী বলেছেন, ‘রাতের অন্ধকারে তোমরা এমপি হয়েছ, আমরাই তো তৈরি করেছি। অহংকার ভালো না দাদাভাই। তোমরা এমপি হয়েছ, মুরব্বিদের সম্মান করে চলো। তা না হলে সমস্যা হবে। তখন কিছু বলতে পারবা না। সংগঠন আমরাই তো করেছি, তোমরা করো নাই।’

শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আসগর আলী এসব কথা বলেন। সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফের উদ্দেশে আসগর আলী এসব কথা বলেন। কারণ, বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার খোকসা শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আসগর আলীসহ চার নেতার বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ। এ কারণে শুক্রবার সমাবেশে প্রতিক্রিয়ায় আসগর আলী এ বক্তব্য দেন।

কুমারখালী উপজেলার যাদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর, কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান। শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন আসগর আলী।

শান্তি সমাবেশে আসগর আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ শুনেছি। দেশের জন্য লড়েছি। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যারা কিবরিয়া ভাইয়ের (সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া) পরিবারের এমপি, যাদের বিরুদ্ধে আপনি সমালোচনা করেছেন তাদের সমালোচনা করার ক্ষমতা কি আপনার আছে?’

সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফের নাম উল্লেখ না করে আসগর আলী বলেন, এমপি হিসেবে উপরে তাকান, নিচে তাকানোর সুযোগ নেই। আমরা আওয়ামী লীগ করি, আওয়ামী মানে জনগণ, আমরা জনগণের দল করি। আর তোমরা চেষ্টা করছ আমি লীগ করার। শেখ হাসিনার নাম নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’

আসগর আলী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফকে আরও বলেন, “আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ছাড়া যুবলীগের সমাবেশ করেছেন। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে সমাবেশ করার সাহস কে দিয়েছে? লজ্জা নেই। আমরাও এ বিষয়ে কিছু বলিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় খোকসা বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ বলেন, আপনারা প্রবীণ মানুষ। আমি ফালতু কথা বলতে চাই না। আপনি যদি কথা বলেন, আমি উপযুক্ত উত্তর দিতে প্রস্তুত।

২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ যে নির্বাচন হয়েছে । বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের কাছে  এ নির্বাচনের ব্যাপারে একটি সত্য প্রচলিত আছে।  সেটা হল ৩০ ডিসেম্বরের দিনের বেলার  ভোট রাতের বেলায় হয়েছে ।  ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমস্ত ভোট আগের  রাতেই  কাস্টিং করে ফেলে । এবং সেই নির্বাচনে রাতের ভোটের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনও স্বীকার করেছে।  এবং আস্তে আস্তে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অনেক এমপি এবং ক্ষমতাবানরাও এ কথা স্বীকার করে আসছে।  তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই নেতার মুখ ফস্কে বের হয়ে যায় এই সত্যটি।

উল্লেখ্য, এরই প্রেক্ষিতে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আওয়ামী লীগ সরকারের নীতিতে বিশ্বাসী হয়েও  তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন,

২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। সরকার জাল ভোট দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন সরকার জনগণের ভাতের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। গণবিরোধী অন্ধকারের রাজনীতি এখন অন্ধকারের অর্থনীতির জন্ম দিচ্ছে।

মি.সেলিম আরও বলেন, সরকার জনসমর্থনের কথা বিবেচনা না করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ধনী ও লুটেরাদের সুবিধা দিতে নানা ধরনের গণবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সরকার দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করছে। সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরকার বলেছে, নির্বাচন যেমন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে, তেমনি আগামীতেও শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করবে। সরকার যেভাবে ভোট চুরি হয়েছে সেভাবে জনগণের সম্পদ লুট করতে চায়, তা সরকারের কথায় বোঝা যায়।

আরও পড়ুন

বিশ্ববাসীর চোখ তিনটি নির্বাচনের দিকে

জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সেবা করুন, হুমকি দেবেন না: হাইকোর্ট

সরকারের গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে সেলিম বলেন, জনগণকে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। জমি বন্ধক রাখা যায়, কিন্তু সুদ কখনো বন্ধক রাখা যায় না। সরকারকে লড়াইয়ের মাধ্যমে যথাযথ জবাব দিতে হবে।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সংবিধানে কি গুম হত্যার অধিকার দেওয়া আছে? সংবিধান রাতে ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়নি। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এখনও সময় আছে।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

    4 Comments

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X