February 6, 2025
বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়ছেই বাড়ছে: ঋণে ৫০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বর্তমান সরকার

বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়ছেই বাড়ছে: ঋণে ৫০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বর্তমান সরকার

বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়ছেই বাড়ছে: ঋণে ৫০ বছরের রেকর্ড বঙ্গ করেছে বর্তমান সরকার

বাংলাদেশ সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়ছেই বাড়ছে: ঋণে ৫০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বর্তমান সরকার

মাটির উর্বরতা সম্পন্ন পৃথিবীর একমাত্র বদ্বীপ হলো বাংলাদেশ। সে দেশের শতকরা ৯০% মানুষই নম্র-ভদ্র এবং ভালো মানুষ। বাকি ১০% মানুষের কারণে ঘটে যাচ্ছে অনর্থ। তার মধ্যে রিজার্ভের টালমাটাল অবস্থা,ব্যাংক চুরি এবং অর্থনীতিকে বারোটা বাজিয়ে দেওয়ার মত সকল কিছু মনে হয় এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীই  করে থাকে । আর তারাই সমাজের মাথা আর  হর্তা কর্তা  । তারা  অর্থনৈতিক শোষণের মধ্য দিয়ে সকল টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এ সুযোগে  সরকারের ব্যাংক ঋণ বাড়ছেই বাড়ছে।

ফলে দেশের অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অর্থনীতির ওপর নানা চাপ মোকাবিলায় ব্যাংকিং খাত থেকে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ নিয়েছে সরকার। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে মোট ঋণ নিয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা, যা একক অর্থবছর বিবেচনায় বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারের সর্বোচ্চ ঋণ। এ ছাড়া বাজেট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৮ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বেশি ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারের ব্যয়ের বিপরীতে রাজস্ব আদায় আশানুরূপ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া বিভিন্ন শর্তের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রির চেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে। বৈদেশিক ঋণ ছাড়েও গতি নেই। ফলে ঘাটতি বাজেট ও অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে সরকারকে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ নিতে হয়েছে।

আরও সংবাদ জানতে

ইসলামী ব্যাংকের আমানতকারীরা এক বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে

মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, মানুষ কম খাচ্ছে: সিপিডি

ঋণখেলাপি আর অর্থ পাচারে খাদের কিনারে বাংলাদেশর ব্যাংকিং খাত:টিআইবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস ২৬ জুন পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ১২২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। বাজেটের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই অঙ্ক আট হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা বেশি।

এদিকে, অর্থবছর শেষে সরকারের বর্তমান ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা।

কিন্তু সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমে যাওয়া এবং রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আট হাজার ৭০০ কোটি টাকা বেশি ঋণ নিতে হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের ২৬ জুন পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা সরকারি ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে সরাসরি ঋণ প্রদানের অর্থ হল টাকা ছাপিয়ে টাকা দেওয়া। সরকার ট্রেজারি বিল এবং বন্ড জারি করে এবং ৯১ দিন থেকে ২০ বছর পর্যন্ত মেয়াদের সাথে ধার নেয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬ জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা।

বেসরকারি সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। সরকারের কাছে টাকা নেই। খরচ মেটাতে টাকশাল থেকে টাকা ছাপানো হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। গত ৫০ বছরেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এত ঋণ নেয়নি সরকার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দিচ্ছে। যে মূল্যস্ফীতি জ্বালানি, এটা এখন দেখা যাচ্ছে. দৃশ্যমান মুদ্রাস্ফীতি চলছে। গত অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে ছিল। এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। অর্থনীতিবিদ বলেন, প্রথমেই টাকা ছাপানো কমাতে হবে। তারপর রাজস্ব বাড়ান বা ব্যয় কমাতে হবে। দুটির একটি করুন। যদি তা না হয়, তাহলে খরচ মেটানোর জন্য আপনাকে টাকা ধার করতে হবে।

জানা গেছে, অর্থবছরের শুরুতে এ ঋণের পরিমাণ কম থাকলেও শেষের দিকে ঋণের চাপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ২১ ও ২২ জুন সরকার ঋণ নিয়েছে ১৫ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলো থেকে ১৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এভাবে চলতে থাকলে পুরো দেশ একদিন দেউলিয়া হয়ে যেতে কারো কোন  হাক- ডাক আর চিৎকারকে তোয়াক্কা করবে না এই ভঙ্গুর অর্থনীতি।

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X