আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস
বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ বুধবার (১৪ জুন) । সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
দেশে রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের আহ্বান জানিয়ে এসব কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো- ‘রক্ত দান করুন, প্লাজমা দান করুন, যতবার সম্ভব দান করুন, এটি জীবন বাঁচানোর অনন্য সুযোগ।’
নিরাপদ রক্ত নিশ্চিত করতে এবং স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে।
সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি সাড়ে চার লাখের সুসংগঠিত দাতা পুলের সমন্বয়ে গঠিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আজ বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপনে এগিয়ে আসছে।
বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে কোয়ান্টাম প্রথমবারের মতো দুই শতাধিক স্বেচ্ছায় রক্তদাতা এবং দুই শতাধিক থ্যালাসেমিক রক্ত গ্রহীতার জন্য সভা ও বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করছে।
স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা নীরবে তাদের রক্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দান করেন। রক্ত দেওয়ার সময়, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জানেন না, রক্ত একজন ব্যক্তির শরীরে প্রবাহিত হবে। একইভাবে রক্তদাতারাও রোগীদের কাছে অজানা থেকে যায়। রক্তদাতা-গ্রহীতার এমন আনন্দ ও কৃতজ্ঞতার সমন্বয়ে নতুন রক্তদাতারা অনুপ্রাণিত হবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
এদেশে রক্তের চাহিদার একটি বড় অংশ থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য। হেমাটোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ সূত্রে জানা গেছে, দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। এক কোটি সত্তর লাখেরও বেশি মানুষ থ্যালাসেমিয়ার বাহক। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে এক থেকে তিন ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।
থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতি রক্তক্ষরণ, পোড়া রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের এই চাহিদা মেটাতে নতুন স্বেচ্ছায় রক্তদাতার বিকল্প নেই।
সাধারণত, ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে যে কোনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ব্যক্তি প্রতি চার মাস অন্তর রক্ত দিতে পারেন।