দুর্নীতির কথা বলায় বরখাস্ত করা হয়েছে বোর্ড কর্মকর্তাকে
বিভিন্ন কর্মকর্তার অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের আরেক কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলায় অভিযুক্ত করা হলেও তারা এখনওবহাল তবিয়তে রয়েছেন। সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের কালাপুর গ্রামের বাসিন্দা বোর্ডের চাকরিচ্যুত সেকশন অফিসার এমন অভিযোগ করেন। সাইফুল ইসলাম এসব বিষয়ে বোর্ড সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
গতকাল সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটে সেকশন অফিসার হিসেবে ২০০০ সালের ১৪ নভেম্বর যোগদান করি। শিক্ষা বোর্ডের সূচনা থেকেই কিছু অসাধুদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। এবং প্রশাসন শাখায় দায়িত্ব পালনকালে কর্মচারীদের সংগঠিত সিন্ডিকেটের নিষ্ক্রিয়তার কারণে কয়েকবার পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তিনি আরও বলেন, “সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের জাল জালিয়াতির সাথে জড়িত। তারা শিক্ষা বোর্ডের নিয়োগ বিধি জাল করে ২০১৯ সালে বেশ কিছু পদোন্নতি ও চলতি দায়িত্ব পেয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি ২ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ মামলা দায়ের করেছি। ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাবেক চেয়ারম্যান ও ১০ কর্মচারী। মামলাটি বর্তমানে দুদক, সিলেট কার্যালয়ে তদন্তাধীন রয়েছে।তিনি অভিযোগ করেন, শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছেন।জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ সাইফুল আলম অফিস বহির্ভূত জালিয়াতির মামলার আসামি।
আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। গত ২২ নভেম্বর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তবে সাময়িক বরখাস্ত ছাড়া তাদের পুরো বেতন ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধাসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাবেক চেয়ারম্যান (বর্তমানে বোর্ড কমিটির অন্যতম সদস্য) অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদুচকে ২০১৯ সালে পদোন্নতি এবং নীহার কান্তি রায়কে বর্তমান দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং মোঃ আলমগীর কবিরকে হিসাব বিভাগের সার্বিক দায়িত্ব দেন। ড. রমা বিজয় সরকার এই সুযোগকে অবাধে ব্যবহার করে শিক্ষা বোর্ডের তহবিল তার ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন।তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেটের বোর্ড কমিটির সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।তিনি দেশের প্রচলিত আইন ও প্রবিধানের আলোকে। তাদের বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেন।