সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে চাঁদা আদায় করে রাস্তা নির্মাণ করছেন স্থানীয়রা
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে চাঁদা আদায় করে নিজ উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ করেছেন এলাকাবাসী। মাটি ভরাট করে প্রায় ২০০মিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে সেখানে । এর ফলে তিন শতাধিক পরিবার উপকৃত হবে বলে জানান তারা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তিতা মিয়াপাড়ায় তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস। এলাকায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মসজিদ, একটি ঈদগাহ ও একটি কবরস্থান রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামবাসীকে। বৃষ্টির দিনে নৌকায় যাতায়াত করা ছাড়া উপায় থাকে না।
এ অবস্থায় সরকারের পল্লী অবকাঠামো সংস্কার (কবিতা) প্রকল্পের আওতায় তিতা খানপাড়া মহল্লা থেকে মিয়াপাড়া মহল্লা পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়; কিন্তু ১ হাজার ৯০০ মিটার সড়কের মধ্যে ১ হাজার ৭০০ মিটারের কাজ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পের বরাদ্দ শেষ হয়। এরপর থেকে বাকি ২০০ মিটারের কাজ বন্ধ ছিল। এলাকার বাসিন্দারা চাঁদা আদায় করে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার অবশিষ্ট অংশের কাজ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (সদস্য) আবু সাঈদ পটু বলেন, রাস্তাটি স্থানীয়দের কোনো কাজে আসেনি। এ কারণে এইচ এম খায়ের মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, কায়সার মিয়া, দেলোয়ার মিয়া প্রমুখ অসমাপ্ত ২০০ মিটার সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন। এরপর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি বেহাল হয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সরকারিভাবে নির্মাণ করা হলেও সড়কটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। তাই গ্রামের সবাই মিলে রাস্তার কাজ শেষ করার অঙ্গীকার করেন। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী চাঁদা দিয়ে রাস্তার কাজে সাহায্য করেছেন। তাছাড়া গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন কৃষি পণ্য আনতে অনেকেরই এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। রাস্তার কাজ শেষ হলে পণ্য পরিবহনের সময় ও খরচ অনেকাংশে কমে যাবেএর
আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) রাহাত ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছায় সড়ক নির্মাণ একটি প্রশংসনীয় কাজ। কিন্তু সড়কটি এলজিইডি আইডির আওতায় নয়। নিয়ম অনুযায়ী রাস্তা পাকা করার চেষ্টা করা হবে।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, এলাকাবাসী ভালো কাজ করেছেন। আগামীতেও এ ধরনের ভালো কাজে উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে।