October 18, 2024
ঈদ যাত্রায় সড়কপথে ৪৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার অধিকাংশই মারা গেছেন বাস দুর্ঘটনায়

ঈদ যাত্রায় সড়কপথে ৪৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার অধিকাংশই মারা গেছেন বাস দুর্ঘটনায়

ঈদ যাত্রায় সড়কপথে ৪৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার অধিকাংশই মারা গেছেন বাস দুর্ঘটনায়

ঈদ যাত্রায় সড়কপথে ৪৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার অধিকাংশই মারা গেছেন বাস দুর্ঘটনায়

এবার এপ্রিলে ছিল ঈদ। এ মাসের শুরু থেকেই ঈদকে ঘিরে অনেক পরিবার তাদের পরিবারকে তাড়াতাড়ি বাড়ি পাঠায়। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে শুরু হয় ঈদ যাত্রা। ২২ এপ্রিল দেশে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এরপর কর্মজীবী মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে ফিরে কর্মস্থলে যোগ দেয়।

এবারের ঈদে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৫০৬টি।নিহত হয় ৪৫১ জন  । আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৫২৭ জন। এর মধ্যে বেশিরভাগই বাস দুর্ঘটনা। বাস দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ২৮২ জন নিহত হয়েছেন। তবে মার্চের তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা কমেছে ৫৫.৫৩ শতাংশ অর্থাৎ এপ্রিলে অর্ধেকেরও বেশি। মৃত ও আহতের সংখ্যাও আগের মাসের তুলনায় অর্ধেক হয়েছে। সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংগঠনের মহাসচিব শান্তা ফারজানার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২২ টি জাতীয় দৈনিক, ২০ টি টেলিভিশন চ্যানেল, ৮৮ টি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলির প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে রোড রিপোর্টগুলি করা হয়। এজন্য তিনি সেভ দ্য রোড রিপোর্ট সচেতনতা কার্যক্রমের পাশাপাশি চালক, পথচারী ও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা-সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও প্রশাসনের তৎপরতার প্রশংসা করেন এবং গণমাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিল মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি। এতে ৩৪ জন নিহত এবং ৪৩৫ জন আহত হয়। ৬৪৫টি ট্রাক দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত ও ৩৬৮ জন আহত হয়েছে। সর্বাধিক ৮০৮ টি বাস দুর্ঘটনার ফলে ২৮২ জন মারা গেছে এবং ৯৪৩  জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া নসিমন-করিমনসহ তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহনের দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬২২ টি। ৭৮১ জন আহত এবং ৮৯ জন নিহত হয়। এতে সেভ দ্য রোড দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চালকদের নির্ধারিত গতিসীমা না মানা, একটানা ১২-২০ ঘণ্টা গাড়ি চালানোসহ নানা অনিয়ম উল্লেখ করেছে। এছাড়া প্রশাসনের অবহেলা, পুলিশ ও প্রশাসনের দুর্নীতিকে দায়ী করেছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটি।

বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ভাড়া দুই থেকে তিনগুণ বেশি আদায় করায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহালেও বিআরটিএ বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মনিটরিং টিম না থাকার অভিযোগ রয়েছে সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদনে। বগুড়া, বরিশাল, নওগাঁ, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের অধিকাংশ সড়ক পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ ভাড়ায় নৈরাজ্য আরোপ করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেডএম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা ও লায়ন ইমাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।

‘আর দুর্ঘটনা হবে না’ এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে পথচলা শুরু করে এই সংগঠনটি। এরপর থেকে তারা সড়ক, রেল, সমুদ্র, বিমান দুর্ঘটনামুক্ত করতে সচেতনতা, গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X